মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের শামসুল হকের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা পরিবর্তন করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। আর আসামি শামসুল হকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।
তিনি বলেন, আমৃত্যু থেকে সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
চলতি বছরের ১২ জুলাই আসামি শামসুল হকের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর গত ১৮ অক্টোবর শুনানি শেষ হয়। এর আগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন জামালপুরে আশরাফ হোসাইন, আবদুল মান্নান ও আবদুল বারী। আর আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয় ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক শরীফ আহম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, হারুন, আবুল হাশেম, মো. শামসুল হক ওরফে বদর ভাই ও এস এম ইউসুফ আলীকে।
দণ্ডিতদের মধ্যে কেবল শামসুল ও ইউসুফ কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল। অন্য ছয়জনকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার শেষ করা হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন শামসুল ও ইউসুফ। আপিল বিচারাধীন অবস্থায় ইউসুফের মৃত্যু হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট ও মরদেহ গুমের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ ও ৫ নম্বর বাদে বাকি তিনটি প্রমাণ হওয়ায় সাজা দেয় ট্রাইব্যুনাল।