বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির তত্ত্বাবধায়কের দাবি বেআইনি: জাতিসংঘে আইনমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ২২:১৫

জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউপিআর-এ অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার যেকোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে। মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠান এবং পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করতে থাকবে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপির দাবি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও বেআইনি- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে এমনটা বলেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর)-এ অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী। বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া পর্যালোচনা বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমানসহ অন্যরা এতে অংশ নেন।

আনিসুল হক তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিএনপি ২৮ অক্টোবর একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা ছাড়াও প্রধান বিচারপতি ও অন্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা চালায় এবং পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

‘আর নির্বিচারে কোনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছে। সরকার যেকোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে।’

সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলগুলোকে রাজনৈতিক স্থান দেয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ‘মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠান এবং পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করতে থাকবে।

রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়েও কথা বলেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একা মিয়ানমারের চাপিয়ে দেয়া সংকটের সমাধান করতে পারবে না।’

আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ধারাবাহিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচনী এলাকা সীমাবদ্ধকরণ আইন-২০২১, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ আইন-২০২২ এবং সংসদ নির্বাচন (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) বিধিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণ বিধিমালা-২০০৮ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধি-২০১৮ সাল থেকে সংশোধন করা হয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ আইন ২০২২ একটি নিরপেক্ষ ও সক্ষম ইসি নিশ্চিত করে। দেশের পাশাপাশি উপমহাদেশে এ ধরনের প্রথম আইন এটি।

বাংলাদেশের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইউপিআরগুলো হয়েছিল যথাক্রমে ফেব্রুয়ারি ২০০৯, এপ্রিল ২০১৩ ও মে ২০১৮ সালে।

ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৭টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। তবে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিটি দেশ পর্যালোচনায় অংশ নিতে পারে।

ইউপিআর হলো ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের মানবাধিকার রেকর্ডের সমকক্ষ পর্যালোচনা।

২০০৮ সালের এপ্রিলে এর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সবক’টিকে নিয়ে তিনবার পর্যালোচনা করা হয়েছে।

ইউপিআর মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি অনন্য প্রক্রিয়া। এটি জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে প্রতি সাড়ে ৪ বছরে তার মানবাধিকার রেকর্ডগুলো সমকক্ষ পর্যালোচনা করার আহ্বান জানায়।

২০০৬ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬০/২৫১ রেজুলেশনে প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) প্রতিটি দেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষাকে সমুন্নত, সমর্থন ও প্রসারিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর