রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় চমক আনা মেট্রোরেলের কোচের ভেতরে একটি কোম্পানির ফ্রিজের বিজ্ঞাপন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। কোচের ভেতর অংশে ফ্রিজের পোস্টারের ছড়াছড়ি- এমন কয়েকটি ছবি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
কোচের ভেতর অংশ ছাড়াও ট্রেনে আন্তঃ ও বহির্গমন ডোরওয়ের গায়েও লাগানো হয়েছে ওই ফ্রিজের পোস্টার। এতে মেট্রোরেলে সৌন্দর্যহানি ঘটেছে বলে দাবি অনেকের।
বিজ্ঞাপনী সংস্থার বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই পোস্টারিং করা হয়েছে।
তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুমতি নিলেও কোথায় কোথায় বিজ্ঞাপন লাগাতে হবে সে বিষয়ে তাদের বেশকিছু শর্ত দেয়া আছে। সেসব শর্ত মেনে কাজটি করা হয়েছে কি না তা সরেজমিনে দেখতে মঙ্গলবার মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের একটি পর্যবেক্ষক যাচ্ছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কনকার মূল প্রতিষ্ঠান ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার জুলহক হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই মিডিয়াকম প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেট্রো ট্রেনে ওই বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এমন বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।’
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সমালোচনা হতেই পারে।’
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিল) ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের মেট্রোরেলের ট্রেনগুলোতে দুই ধরনের বিজ্ঞাপনের জন্য একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে ভাড়া ও লিজের ভিত্তিতে চুক্তি হয়েছে। এখন ওই চুক্তির ওপর ভিত্তি করে তারা কী করেছে না করেছে সেটা আমরা জানি না।
‘এই বিজ্ঞাপনগুলো তারা কোথায় কোথায় লাগিয়েছে সেটা দেখার জন্য আগামীকাল (মঙ্গলবার) আমাদের একটি পর্যবেক্ষণ টিম ট্রেনগুলোতে যাবে। পর্যবেক্ষণ না করা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে তা বছরভিত্তিক। চুক্তিতে তাদেরকে বেশকিছু শর্ত দেয়া আছে। বিজ্ঞাপনের একটা নির্দিষ্ট মাপ দেয়া আছে। কোথায় কোথায় বিজ্ঞাপন লাগাতে পারবে তা-ও বলা আছে। এখন আমাদের পর্যবেক্ষণ টিম সেসব শর্তের কোনো বরখেলাপ হয়েছে কি না তা দেখবে। এরপর তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’