মজার ছলে চোখের পাতায় সুপার গ্লু আঠা লাগিয়ে তাতে আঠা আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন মেহেরপুরের এক ওয়ার্কশপ কর্মী সাজিম আহমেদ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দী ইকরাম ওয়ার্কশপে।
১৫ বছর বয়সী সাজিম আহমেদ উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী আশপাশের দোকানীরা বলেন, ‘বিকেলের দিকে সাজিম আহমেদ দোকানে বসে সুপার গ্লু আঠাতে আঠা আছে কি না- তা পরীক্ষা করার জন্য তার নিজের ডান চোখের দু’পাতায় লাগায়। এর কিছুক্ষণ পরে সে চোখ খুলতে না পেরে চিৎকার করে ওঠে। এ সময় আমরা পাশ থেকে ছুটে এসে দেখি সে চোখ ধরে বসে আছে। পরক্ষণে আমরা তাকে কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করি। তখন সে আমাদের বিষয়টি খুলে বলে।
‘পরে তাকে সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’
এ ব্যাপারে ওয়ার্কশপের মালিক একরামুল হক বলেন, ‘ছেলেটাকে নিয়ে আমি বিপদে আছি। ওর বাবা খুব গরীব তাই আমার কাছে কাজ শেখার জন্য রেখে গেছে। আর ও হিটলারি করে নিজের চোখে সুপার গ্লু লাগিয়েছে। আল্লাহ্ যেন ওকে রক্ষা করে!’