বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিজেদের প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর প্রতিহত করতে শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:৪৯

মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক নামধারী বড়লোক নেতারাই উসকে দিচ্ছে, আর বিএনপি-জামাত তাতে বাতাস দিচ্ছে।’

২৮ অক্টোবর কিছু করতে না পেরে বিএনপি এখন গার্মেন্টসে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। নিজের নিজের কারখানায় হামলা রুখতে পোশাক শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা নিজের প্রতিষ্ঠান যেটিতে কাজ করেন, সেই প্রতিষ্ঠান আপনাকে এবং দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই সেটিতে হামলা বা ভাঙচুর করা মানে, নিজের গায়ে আঘাত দেয়া। কারো প্ররোচনায় আপনারা প্ররোচিত হবেন না।’

সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজজল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘যারা হামলার প্ররোচনা দেয় তারা নিজেদের শ্রমিক সংগঠনের নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়, কিন্তু ওরা কেউ শ্রমিক নয়। ওদের ঢাকা শহরে দামি ফ্ল্যাট আছে, গাড়ি আছে। ওরা মিটিংয়ে যখন যায় তখন রিকশায় যায়, গাড়ি দূরে রেখে যায়- খবর আছে আমাদের কাছে। আর তারা বাড়িতে কাউকে ডাকে না, অফিসে ডাকে। কারণ নেতার এত সুন্দর বাড়ি দেখলে তো শ্রমিকরা বিগড়ে যাবে। এই শ্রমিক নামধারী বড়লোক নেতারাই উসকে দিচ্ছে, আর বিএনপি-জামাত তাতে বাতাস দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আল কায়েদা বা আইএস নেতারা যেভাবে গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করত, এখন রিজভী সাহেবও সে রকম গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছে। আর অবরোধের নামে গাড়ি-ঘোড়াতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করাই হচ্ছে তাদের কর্মসূচি।

‘অনেকেই প্রশ্ন রেখেছে যে, রিজভী সাহেব গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি অর্থাৎ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘোষণা দিচ্ছে, প্রতিদিন অনেক গাড়ি-ঘোড়াতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। তারপরও তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? যারা মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়ার ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, হামলা পরিচালনা করছে, অনেকে দাবি তুলেছে পুলিশ কেন দেখামাত্র তাদের গুলি করে না?

‘আজকে দাবি উঠেছে প্রত্যেকটি সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যতদিন এ ধরনের চোরাগোপ্তা হামলা চলবে, ততদিন গ্রেপ্তার অভিযানও চলবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ মুরুব্বিয়ানা করবেন না। যারা মানবাধিকারের ধূয়া তোলেন, আমাদের দেশে মানবাধিকার সংগঠন, বুদ্ধিজীবী যারা মাঝেমধ্যে বিবৃতি দেন, দেখলাম যে, তারা মির্জা ফখরুল সাহেবের মুক্তির জন্য বিবৃতি দিয়েছেন। তারা কেমন বুদ্ধিজীবী যে এই আগুন সন্ত্রাস, এই পুলিশ হত্যা, আমাদের নারী কর্মীদের হেনস্তা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা, হাসপাতালে হামলা- এগুলোর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিলেন না! বুদ্ধিজীবীরা বুদ্ধি করে নিশ্চুপ আছেন, নাকি সব বুদ্ধি লোপ পেয়েছে, সেটিই প্রশ্ন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পোশাক শ্রমিকদের বেতন খালেদা জিয়ার আমলে ছিল মাসে ৮০০ টাকা। সেখান থেকে শেখ হাসিনা ডাবল করে ১৬০০ টাকা করেছিলেন। অন্য কোনো সরকার আর তা বাড়ান নাই। আবার জননেত্রী শেখ হাসিনা সেখান থেকে ৮,০০০ টাকায় নিয়ে গেছেন, এখন ১২,৫০০ টাকায় এনেছেন। এর ওপর প্রতি বছর আবার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি। পাশাপাশি তাদের ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে তারা স্বল্পমূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শ্রমিকরা আমাদের ভাই, আমাদের বোন। আপনারা কষ্ট করেন, তাই দেশের অর্থনীতির চাকা চলে। যারা প্ররোচনা দিয়ে আপনাদের প্রতিষ্ঠানে বাইরে থেকে গিয়ে হামলা করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করুন; তাদের আইনের হাতে তুলে দেন। আমাদের সরকার আপনাদের পাশে আছে, জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর