সাভারের আশুলিয়ায় আয়োজিত বাংলাদেশ যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ র্যালি করতে এসে হট্টগোল ও মারামারিতে জড়িয়েছেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে থানা যুবলীগের এক শীর্ষ নেতাকে এক যুবলীগ কর্মীকে মারধর করতেও দেখা গেছে। যদিও হট্টগোলের সময় কর্মীদের শাসন করেছেন বলে দাবি ওই যুবলীগ নেতার।
আশুলিয়ার ত্রিমোড় এলাকায় সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি শেষে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ মারধর ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার মো. হাফিজ ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের একজন কর্মী। তিনি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেনের ভাই বলে জানা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বিকেলে বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকায় যুবলীগের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হয়ে শ্লোগান দিতে থাকে। হঠাৎ ওই স্থানে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে এক পর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও একে-অপরকে মারধর করতে দেখা যায়।আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারকেও হট্টগোলের মধ্যে মারধর করতে দেখা গেছে।
মারধরের শিকার ইয়ারপুর ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মী মো. হাফিজ বলেন, ‘আমি ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আমীন ভাইয়ের প্যানেলের লোক। আমাদের লোকজনই আমাকে মেরেছে। বিষয়টি পরে দেখা যাবে।’
আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মইনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘তেমন কিছু হয়নি। তবে কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আহবায়কতো কাউকে মারধর করেনি।’
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, ‘হট্টগোলের সময় আমি শাসন করেছি, কাউকে মারধর করিনি।’
এদিকে যুবলীগের র্যালি ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে আশুলিয়ার বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকায় ব্যাপক যানযটের সৃষ্টি হয়। এ সময় টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল থেকে জামগড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ পর্যন্ত আরও ২ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে আধাঘন্টা পর বিকাল ৫টার দিকে যুবলীগ নেতা-কর্মীরা চলে গেলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
নাজমা বেগম নামে বাসের এক যাত্রী বলেন, ‘তারা (যুবলীগ) সমাবেশ করছে ভাল কথা। আমাদের যাতায়াতের জন্য এক পাশ খোলা রাখলে ভাল হতো। প্রায় আধাঘন্টা আমাদের অযথা বসে থাকতে হয়েছে। গরমে অনেক ভোগান্তিতে পড়েছি।’
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি শেখ আবুল হাসান বলেন, ‘বাইপাইল এলাকায় যানজটের বিষয়টি দেখছি। আর টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কটি ঢাকা জেলা পুলিশের অধীনে। এছাড়া ওই সড়কে উন্নয়ণ কাজ চলায় একটু যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।’