বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি চাকুরেদের ৫, অথচ পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ৫৬ শতাংশ

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:৩৬

প্রশ্ন তুলে সরকার প্রধান বলেন, ‘তাহলে তাদের (পোশাক শ্রমিক) আপত্তিটা কোথায়? তারা ১৯টি শিল্প-কলকারখানা ভেঙেছে। এই ধ্বংস কারা করছে? এদের মধ্যে কারা আছে সেটাই খুঁজে বের করা দরকার।’

মূল্যস্ফীতিতে সরকারি কর্মচারীদের মজুরি যেখানে বেড়েছে ৫ শতাংশ, সেখানে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে বেড়েছে ৫৬ শতাংশ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘তাহলে তাদের (পোশাক শ্রমিক) আপত্তিটা কোথায়? তারা ১৯টি শিল্প-কলকারখানা ভেঙেছে। এই ধ্বংস কারা করছে? এদের মধ্যে কারা আছে, সেটাই খুঁজে বের করা দরকার।’

সোমবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দেশে গার্মেন্ট শ্রমিকদের চলমাল আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকরা, যারা এই আন্দোলন করে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- ৯৬ সালে সরকারে এসে দেখি, মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। আমি সেটা বাড়িয়েছিলাম ১৬০০ টাকায়।

‘বিএনপির খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে তো এক পয়সাও বাড়াননি। না জিয়া, না এরশাদ, না খালেদা জিয়া- যেটুকু বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ।

‘প্রথমবার ৮০০ থেকে ১৬০০, দ্বিতীয় বার সরকারে এসে ১৬০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বাড়ালাম। এরপর তৃতীয় দফায় ৮ হাজার ২০০ টাকায় বাড়ালাম। আর এবার চতুর্থ দফায় ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেসরকারি খাত, তারপরও গার্মেন্টস মালিকদের বুঝিয়ে আমরা মজুরি বৃদ্ধি করেছি। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। হ্যাঁ, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে; মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কৃষকরা যা উৎপাদন করে সে জন্য খুব অল্প টাকায় আমরা সার দেই, বীজ দেই। তাদেরকে ভর্তুকি দিই।’

উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজ আপনাদের কাছে আমার সেই আহ্বান থাকবে। ওই সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াত জোট, এরা তো মানুষের জন্য কাজ করে না। একজন তো এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত।

‘আরেকজন ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে বলেছিল যে আর কোনোদিন রাজনীতিই করবে না। এখন লন্ডনে বসে যত টাকা দুর্নীতি করে চুরি করেছিল, সেই টাকা খরচ করে। আর আগুন জ্বালিয়ে মানুষ মারে। এই মানুষ খুন, এটাই হচ্ছে তাদের একমাত্র গুণ। আর কোনো গুণ বিএনপি-জামায়াতের নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখলাম ইসরায়েল প্যালেস্টাইনে হামলা করছে। মা বাচ্চাদেরকে নিয়ে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই ইহুদিরা হাসপাতালের ওপর বোমা হামলা করে মা-শিশুকে হত্যা করেছে।

‘বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা বোধ হয় ওই ইসরায়েলের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছে। যার জন্য ওরা আজ অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করে, অন্তঃসত্ত্বাকে পর্যন্ত পুড়িয়ে মারে। তাহলে এরা কারা?’

প্রধানমন্ত্রী এর আগে খুলনায় ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ব্যক্তিগত সফরে তিনি খুলনায় এসেছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর