বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবরোধের প্রভাব খাগড়াছড়ি ও সাজেকে, ফাঁকা পর্যটনকেন্দ্রগুলো

  • আবদুল জলিল, খাগড়াছড়ি    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:১২

খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘এমন রাজনৈকিত অস্থিরতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। এভাবে চলতে থাকলে অনেকেরেই দেউলিয়া হতে হবে, পর্যটন খাত পড়বে বিপর্যয়ে।’

বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের প্রভাব পড়েছে খাগড়াছড়ির পর্যটন খাতে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নেই পর্যটক, হোটেল বুকিং বাতিল করছেন অনেকে। একই অবস্থা বাংলার দার্জিলিং খ্যাত মেঘের রাজ্য রাঙামাটির সাজেকেরও।

বছরজুড়ে খাগড়াছড়ির উঁচু-নিচু পাহাড়, সর্পিল সড়ক ও সবুজের সমারোহে পর্যটকরা মুখরিত হলেও এখন এগুলো ফাঁকা। প্রতি বছর শীত মৌসুমের শুরুতে জমজমাট থাকে এই পার্বত্য জেলার আলুটিলা, রিচাং ঝর্ণা, জেলা পরিষদ পার্কসহ দর্শনীয় সব স্পট। তবে অবরোধে এবার সেখানকার কর্মীদের অলস সময় কাটছে।

খাগড়াছড়ি ও সাজেকে গত ১৫ দিনের হরতাল ও অবরোধে চলছে সুনসান নীরবতা। পর্যটন ঘিরে এখানে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্টে অগ্রিম বুকিং নেই। তেমনই পর্যটক বহনকারী শতাধিক গাড়ির চাকাও প্রায় অচল।

এসবের সঙ্গে জড়িত পাঁচ সহস্রাধিক শ্রমিক, দোকান কর্মচারীর অলস সময় পার করলেও মালিক পক্ষ বেতন, ভাতা গুনতে গিয়ে পুঁজিতে তাদের পড়ছে টান। এক কথায়, পর্যটন খ্যাত খাগড়াছড়ি ও সাজেকে এখন সুনসান নীরবতা ও স্থবিরতা। গড়ে পর্যটক কমেছে ৭০ শতাংশ।

দীঘিনালা-সাজেক সড়কে নিয়মিত পর্যটক পরিবহনকারী জীপ চালক ইয়াসিন আলী বলেন, ধাপে ধাপে অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি ও সাজেকে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন পর্যটকের ভাড়া বাদ দিয়ে লাকড়ির ভাড়া মারছি।

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের দ্বায়িত্বতে থাকা কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, ভরা মৌসুমে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের সমাগম হয়। কিন্তু এবার অবরোধ-হরতালের কারণে পর্যটক নেই বললেই চলে। এভাবে পর্যটক না আসলে আমরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব।

আলুটিলা কফি হাউজ অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের পরিচালক মেহেদি হাসান বলেন, এখানে বর্তমানে স্থানীয় মানুষ ছাড়া কেউ আসে না। অথচ আমাদের নিয়মিত ব্যয় হচ্ছে।

ভরা মৌসুমেও পর্যটক না থাকায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। রাজনৈতিক অস্থিরতা দীর্ঘ হলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তাদের।

খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘এমন রাজনৈকিত অস্থিরতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। এভাবে চলতে থাকলে অনেকেরেই দেউলিয়া হতে হবে, পর্যটন খাত পড়বে বিপর্যয়ে।’

এ বিভাগের আরো খবর