দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সোমবার খুলনা সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধানকে বহনকারী হেলিকপ্টার বেলা পৌনে একটার দিকে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অবতরণ করে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির জনসভাকে কেন্দ্র করে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠ। ধারণক্ষমতা না থাকায় নেতা-কর্মীরা সার্কিট হাউসের আশপাশের সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন।
বেলা ৩টায় খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউসে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। বেলা পৌনে তিনটায় সার্কিট হাউস মাঠে উপস্থিত হয়ে দুই হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২২৩ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এরপর যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেয়ার জন্য সার্কিট হাউস মাঠের আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের মঞ্চ।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন জানান, খুলনায় এবারের জনসভা হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। সার্কিট হাউস মাঠে শুধু নারী নেতা-কর্মীরা থাকবেন। আর পুরুষরা অবস্থান করবেন বিভিন্ন সড়কে। সড়কের ওপর অসংখ্য এলইডি মনিটর লাগানো হয়েছে, যেন থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা দেখা যাবে।
মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক জানান, জনসভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নগরের রাজপথে আজ নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে।
২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ব্যক্তিগত সফরে খুলনা এসেছিলেন তিনি।