বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শারীরিক পরিশ্রম করতে বলেছিলেন চিকিৎসক, সেই থেকে শুরু ফেরদৌসের কৃষিকাজ

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:৪৩

মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটিয়ে ফেরদৌস বলেন, আমি বিষমুক্ত সবজি ফল উৎপাদন করি। তাই বাজারে ফল ফসল নিতে হয় না, নিরাপদ হওয়ায় ক্রেতারা অগ্রিম বুকিং দিয়ে জমি থেকে নিয়ে যায়।

মাত্র ১২ শতক জমি। এই এক টুকরো জমিতে রঙিন হয়ে আছে ফুল ফল সবজি। পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে সেখান থেকে বছরে আয় অন্তত ৬ লাখ টাকা। এ উদ্যোগ নিয়েছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার ফেরদৌসুল আলম।

পরিবারে বিষমুক্ত খাদ্যের যোগানের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি আয় করা কৃষি উদ্যেক্তা ফেরদৌসুল আলম দিনভর ব্যস্ত থাকেন এই চাষাবাদ নিয়ই। তাকে দেখে এখন অনেকেই উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী হচ্ছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, ওই জমির কোন বেডে ড্রাগন, কোনটিতে ডাটা, লাল শাক, মুলা,পালং শাক,কলমি শাক। পাশে রয়েছে লাউ, কুমড়া। জমির বেড়ায় ঝুলছে বরবটি। রয়েছে কলা, পেঁপে, লেবু ও শরিফা।

ফুলের মধ্যে রয়েছে গোলাপ, গন্ধরাজ, গাদা। কোন বেডে ড্রাগনের গোড়ায় ডাটা শাকের চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন করা হচ্ছে জৈব সার।শুধু তাই নয়, একই জমিতে চলছে চারা উৎপাদনের প্রক্রিয়া। ঝুলন্ত পদ্ধতিতে দেয়া হচ্ছে সেচ। পুরো জমিটা যেন ফুল-ফসলে হাসছে।

উদ্যোক্তা ফেরদৌসুল আলম জানান, উপজেলা সদরে বইয়ের ব্যবসা ছিল। শারীরিক অসুস্থতায় তিনি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করান। তবে চিকিৎসক পরামর্শ দেন শারীরিক পরিশ্রম করতে। যেই কথা সেই কাজ। শারীরিক পরিশ্রমের অংশ হিসেবে ফেরদৌস কৃষিতে মনোযোগ দেন।

গত চার বছর ধরে ইউটিউব দেখে কৃষি কাজ করছেন তিনি। শুরুতে ভালো ফলন না পেলেও দমে যাননি ফেরদৌস। প্রযুক্তির সহায়তা নেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শ মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তারপর নেমে পড়েন জমিতে। সফল হলেন তিনি।

এখন তার জমিতে উৎপাদিত ফুল ফল সবজি পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিগুলো বিক্রি করেন। সেখান থেকে ভালো মুনাফা হচ্ছে। পাশাপাশি কিছু শাক সবজি ফলমূল দরিদ্র প্রতিবেশীদের মাঝে বিতরণ করেন।

ফেরদৌস বলেন, শুরুতে মানুষ নানান কথা বলতো। তবে এখন আমার সফলতা দেখে কেউ আর কিছু বলে না। সকাল বিকেল আমার বাগানে এসে দেখে ।

মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটিয়ে ফেরদৌস বলেন, আমি বিষমুক্ত সবজি ফল উৎপাদন করি। তাই বাজারে ফল ফসল নিতে হয় না, নিরাপদ হওয়ায় ক্রেতারা অগ্রিম বুকিং দিয়ে জমি থেকে নিয়ে যায়।

তিনি জানান, আগামীতে আরও ৩৬ শতক জমিতে কলা ও মিষ্টি আলুর চাষ করবেন। মনোযোগ দিলে কৃষিতে সাফল্য আসবে বলেও তিনি জানান।

স্থানীয় উপ-সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ফেরদৌসুল আলম একজন উদ্যোমী উদ্যোক্তা। তাকে আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছি।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিণা আক্তার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মতো তিনি এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখেননি। বিষমুক্ত উপায়ে ফসল উৎপাদন করছেন। তার সফলতা দেখে অন্য শিক্ষিত তরুণরাও কৃষিতে আগ্রহী হচ্ছেন। শিক্ষিত উদ্যোক্তা তৈরিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এ বিভাগের আরো খবর