বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় বোতল চৌধুরীর জামিন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:০২

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতকে দ্রুত মামলা শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’

নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে জামিন দিয়েছে আপিল বিভাগ।

বিচারিক আদালতকে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশও দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতকে দ্রুত মামলা শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

‘এ মামলায় এখন পর্যন্ত মাত্র ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। কেন দ্রুত সাক্ষ্যগ্রহণ করা যাচ্ছে না, তার কারণ জানিয়ে বিচারিক আদালত আজ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেই ব্যাখ্যায় সন্তষ্ট হয়ে আদালত আমাদের মক্কেলের জামিন মঞ্জুর করেছেন।’

গত ২৯ অক্টোবর আপিল বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার বিচার ছয় মাসেও শেষ না হওয়ায় বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়। পাশাপাশি ১২ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারককে জবাব দিতে বলা হয়।

বোতল চৌধুরীকে গত বছরের ৫ এপ্রিল রাতে গ্রেপ্তার করে র‌্যঅব। এরপর হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান। পরে আপিল বিভাগ সেই জামিন স্থগিত করে রেখে দেন।

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০০১ সালে অভিযোগ গঠন করা হয়, তবে ২০০৩ সালে এক আসামি হাইকোর্টে রিট করলে বিচারকাজ স্থগিত করে রুল জারি করা হয়। ২০১৫ সালে ওই রুল খারিজ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রায় দেয় উচ্চ আদালত, কিন্তু রহস্যজনক কারণে ওই নথি আর বিচারিক আদালতে যায়নি; শুরু হয়নি বিচারকাজ।

এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে ফের আলোচনায় আসে মামলাটি। দ্র্রুত মামলাটি শেষ করতে রিট করা হয়।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।

এরপর ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত শুরু করে। শুরুতে ক্লাবের ১১ সদস্য-কর্মচারীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় আদনান সিদ্দিকী নামের এক ব্যক্তিকে।

ডিবি তদন্তে নেমে ১৯৯৯ সালের ৩ জানুয়ারি গুলশান থেকে ক্লাব ট্রামসের মালিক বান্টি ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এর তিন দিন পর ৬ জানুয়ারি গুলশান লেডিস পার্কের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আলোচিত শিল্পপতি আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আদনান সিদ্দিকী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, হত্যাকাণ্ডের আগে এক শিল্পপতির ফোন পেয়ে তিনি ঢাকা ক্লাব থেকে ঘটনাস্থলে যান।

এক বছর তদন্তের পর ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবির সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এতে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ছাড়াও তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনকে অভিযুক্ত করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর