আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অবস্থান নেয়া শুরু করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
জনসভাস্থলে এসে সোমবার বিকেল তিনটার দিকে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতির। এর আগে সকাল থেকে সার্কিট হাউস মাঠের দিকে রওনা হন খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর নেতা-কর্মীরা।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, খুলনা অঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ১০ লাখ মানুষকে জনসভায় হাজির করার প্রস্তুতি রয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টার দিকে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। এরপর দুপুর একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত সার্কিট হাউসে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি। বেলা পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউস মাঠে উপস্থিত হয়ে ২ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২২৩ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এরপর যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।
শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য সার্কিট হাউস মাঠের আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে নৌকা। তার ওপরে পদ্মা সেতুর আদলে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন জানান, খুলনায় এবারের জনসভা হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। সার্কিট হাউস মাঠে শুধু নারী নেতা-কর্মীরা থাকবেন। আর পুরুষরা অবস্থান করবেন বিভিন্ন সড়কে। সড়কের ওপরে অসংখ্য এলইডি মনিটর লাগানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা দেখা যাবে।
মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক জানান, জনসভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নগরের রাজপথে আজ নেতা-কর্মীদের ঢল নামছে।
জনসভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খুলনাবাসীর পক্ষ থেকে ১৮টি স্মারক তুলে দেয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই ও সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের সব উন্নয়ন হয়েছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। খুলনাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাকি উন্নয়ন তিনি বাস্তবায়ন করবেন বলে আশা করি।’
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে গোটা খুলনা নগর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, জনসভাস্থলে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। সার্কিট হাউস মাঠ ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গোটা নগর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে। জনসভাস্থলে আসা এবং জনসভা শেষে যাতে লোকজন নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।