জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির আওতায় চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় সোমবার বেলা ৩টায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ পর্যালোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ধারাবাহিকভাবে চতুর্থবার ইউপিআর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইউপিআর সভায় অংশ নিতে জেনেভায় রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে গত চার বছরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরাসহ এ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন প্রতিনিধিরা।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রতি চার বছর পরপর ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ হয়। এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিগত চার বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রকে মানবাধিকার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে প্রশ্ন ও সুপারিশ করে।
এর আগে বাংলাদেশ ২০০৯ সালে প্রথমবার, ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে তৃতীয়বার ইউপিআরে অংশ নেয়।
মূলত তিনটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এই পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো সরকারের দেয়া জাতীয় প্রতিবেদন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা সংগঠনের জোটগুলোর দেয়া প্রতিবেদন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন।