বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, অস্ত্রসহ আটক ৪

  • প্রতিনিধি, পাবনা   
  • ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ২৩:৫৮

ভুক্তভোগী সাংবাদিক উৎপল মির্জা বলেন, ‘হামলাকারীরা বহিরাগত। তাদের আগে কখনও এলাকায় দেখা যায়নি। তাদের ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে হয়। কেন, কী কারণে এই হামলা- তা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে ইছামতি নদী নিয়ে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে কেউ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।’

পাবনায় মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ও উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো চিফ উৎপল মির্জার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক নারীসহ চারজনকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুরে পাবনা পৌর সদরের দিলালপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন- পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আলোকদিয়ার গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী ৩৫ বছর বয়সী তসলিমা খাতুন, পাবনা পৌর সদরের আরিফপুর মহল্লার আব্দুর রহমান মোল্লার ছেলে ২৫ বছর বয়সী মোবারক মোল্লা, দিলালপুর মহল্লার ৩৫ বছর বয়সী জহুরুল ইসলাম এবং ৩০ বছর বয়সী তানভীর ইসলাম।

ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের বরাতে পুলিশ জানায়, দুপুরে বেশকিছু সন্ত্রাসী একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক উৎপল মির্জার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা সাংবাদিকের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বাসার তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় সাংবাদিক উৎপল মির্জা বাড়িতে ছিলেন না। হামলার ঘটনায় ভীত-সন্ত্রস্ত সাংবাদিক উৎপল মির্জার স্ত্রী ফোনে তাকে ঘটনাটি জানান। প্রতিকারের আশায় তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি সদর থানার ওসির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠান।

সদর থানার ওসি রওশন আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক নারীসহ চারজন আটক করে। তবে এসময় বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র। ছবি: নিউজবাংলা

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘হামলার ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক গিয়ে হাতেনাতে চারজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর পেছনে কারা ছিল, কী কারণে এই হামলার ঘটনা- সব খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’

ভুক্তভোগী সাংবাদিক উৎপল মির্জা বলেন, ‘দুপুরে আমি মাছারাঙা টেলিভিশনের পাবনা অফিসে কর্মরত ছিলাম। এ সময় আমার স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে হামলার ঘটনাটি জানায়। ঘটনা শুনে আমি দ্রুত পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি সদর থানার ওসিকে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠান। পরে হামলাকারীদের বেশিরভাগ পালিয়ে গেলেও চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।’

তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা বহিরাগত। তাদের আগে কখনও এলাকায় দেখা যায়নি। তাদের ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে হয়। কেন, কী কারণে এই হামলা- তা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে ইছামতি নদী নিয়ে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে কেউ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।’

এদিকে সাংবাদিক উৎপল মির্জার বাড়িতে সশস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিক উৎপল মির্জার বাড়িতে প্রকাশ্যে সশস্ত্র হামলার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা এই হামলার পেছনে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। পাশাপাশি পরিবারটির নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েনের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘সাংবাদিক উৎপল মির্জা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে রোববার সন্ধ্যায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর