তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা স্বাক্ষরিত এই গেজেট রোববার প্রকাশ করা হয়।
মজুরি নিয়ে কারও কোনো সুপারিশ বা আপত্তি থাকলে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে তা ন্যূনতম মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লাকে লিখিতভাবে জানানোর সুযোগ রয়েছে বলেও গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে পাওয়া আপত্তি বা সুপারিশ বিবেচনা করে বোর্ড সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
এর আগে ৭ নভেম্বর পোশাক কারখানা মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে আরএমজি মজুরি বোর্ড এই খাতের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে।
প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, সহকারী অপারেটর বা গ্রেড-৫ কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। আর গ্রেড-১ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা। এছাড়া গ্রেড-২ ন্যূনতম বেতন ১৪ হাজার ১৫০ টাকা, গ্রেড-৩ ন্যূনতম বেতন ১৩ হাজার ৫৫০ ও গ্রেড-৪ ন্যূনতম বেতন ১৩ হাজার ২৫ টাকা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষোভরত পোশাক শ্রমিকরা গার্মেন্টস সেক্টরের সব শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছেন।
তারা বিদ্যমান ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ৬৫ শতাংশ বেসিক বেতন এবং ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্টও চেয়েছেন।
গেজেটে বলা হয়েছে, ন্যূনতম মজুরি সমন্বয় করে এক বছর কাজ করার পর শ্রমিকরা বার্ষিক ভিত্তিতে বেসিক বেতনের ৫ শতাংশ হারে বর্ধিত বেতন পাবেন।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫-এর সংশ্লিষ্ট ধারা ও বিধি অনুসারে এই খাতের কাজের সময়, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা ঠিক করা হবে।
প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, সহকারী অপারেটর বা গ্রেড-৫ কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৭০০, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৩৫০, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা।
এছাড়া গ্রেড-১ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন ৮ হাজার ২০০, বাড়ি ভাড়া ৪ হাজার ১০০, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০, ভ্রমণ ভাতা ৪৫০ এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গ্রেড-২ কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৪ হাজার ১৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৯০০, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০, ভ্রমণ তায়াত ভাতা ৪৫০ ও খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা।
গ্রেড-৩ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন ৭ হাজার ৪০০, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৭০০, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গ্রেড-৪ কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৩ হাজার ২৫ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন ৭ হাজার ৫০, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৫২, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।