নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার মামলায় এক যুবককের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে অন্য ধারায় সাজাসহ অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে ওই আসামিকে।
রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় মামলার আসামি ২৮ বছর বয়সী নাজমুল হুদা লিয়ন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন আহামেদ জানান, প্রতিবেশী হওয়ার শিশুটির বাড়িতে প্রায় টিভি দেখতে আসতো লিয়ন। ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে শিশুটির বাবা মজিদ ও লিয়ন এক সঙ্গে ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। এসময় শিশুটি আহাদকে লিয়নের সঙ্গে টিভি দেখতে ঘরে রেখে মজিদ বাইরে যায়। তার স্ত্রী বাড়ির বাইরে ছিলেন। আধঘন্টা পর তারা বাড়িতে ফিরে দেখে তাদের সন্তান ঘরে নেই।
লিয়নের খোঁজ করেও তাকে না পেয়ে পরে আশপাশে খোঁজাখুজি শুরু করেন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা। পরে রাতে থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করে শিশুটির বাবা। পরদিন রাতে মুন্সিগঞ্জ থেকে লিয়নকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞেসাবাদে সে জানায় শিশু আহাদকে নদীতে ফেলে হত্যা করেছেন তিনি।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, শিশুটিকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে তার বাবা মজিদ ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বিকার করে আসামি লিয়ন আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।
আসামি আদালতকে জানায় শিশুটির বাবার ওপর ক্ষোভ থেকে শিশুকে হত্যা করে সে। মামলাটি আদালতে ৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত আজ রায় দিয়েছে।
ওসি আসাদুজ্জামান জানান, ‘মামলার একমাত্র আসামি লিয়নকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অন্য আরেকটি ধারায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া লাশ গুম করার অপরাধে আরেকটি ধারায় তাকে ৭ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি প্রতিটি ধারায় অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।’