পাত্রীর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাদারীপুরে এক নবদম্পতিকে গভীর রাতে থানায় ধরে এনে দুইদফা মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
ডাসার থানায় শনিবার প্রথম দফায় রাত ১০টা ও রাত দুইটার দিকে দ্বিতীয় দফা মারধরের এ ঘটনা ঘটে। মারধরে অভিযুক্ত রতন মন্ডল ডাসার থানা পুলিশের এসআই হিসেবে কর্মরত।
জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে থাকায় সোমবার হিন্দু ধর্মীয় নিয়মনীতি মেনে রাজৈর উপজেলার খালিয়া গ্রামের ২০ বছর বয়সী কিশোর মন্ডলের সঙ্গে পাশ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসেদপুর উপজেলার বানিয়ারচর গ্রামের দোলা বারুরির বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের আলাদতের মাধ্যমে নোটারি সম্পন্ন করেন এ নবদম্পতি।
পরবর্তীতে ডাসারের নবগ্রাম ইউনিয়নের চলবল গ্রামে কিশোর মন্ডলের বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তারা। হঠাৎ ডাসার থানা পুলিশের এসআই রতন মন্ডল রাত ১০টা দিকে নববধুর পরিবারের লোকজন নিয়ে চলবল গ্রাম থেকে মারধর করে ডাসার থানায় নিয়ে আসেন তাদের। রাত দুইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগী কিশোর মন্ডলের বাবা কমল মন্ডল বলেন, ‘আমার ছেলে ধর্মীয় নিয়ম নীতি মেনে সিদুর পড়িয়ে দোলা বারুরীকে বিয়ে করেছে। আমার মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গিলে সেখান থেকে আমার ছেলেকে ধরে এসআই রতন থানার ভেতরে এনে মারধর করেছে। আমার পুত্রবধূকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে টেনে-হেঁচড়ে তার পরিবারের কাছে দিয়ে দিয়েছে এসআই রতন। আমার ছেলেকে সকালে আমাদেরকে ফেরত দেয় ডাসার থানা পুলিশ। আমি এর বিচার চাই।’
ডাসার থানার এস আই রতন মন্ডলের কাছে নির্যাতনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মেয়ের বাবা রাজৈর থানায় অভিযোগ দিয়েছে।’ তবে অভিযোগের কপি দেখাতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে ডাসার থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘এসআই রতন এটা করতে পারে না। নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানতে হবে। ঘটনা সত্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’