বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির অ্যাক্টিভিস্টরাই নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:১২

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে লঙ্কাকাণ্ডের আগে আমরা বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে ধরিনি। সেখানে যখন নৃশংসতা ও বর্বরতা চলছে, তখন তারা মঞ্চে বসে ছিলেন। তারা তো দুঃখ প্রকাশ করতে পারতেন জাতির উদ্দেশ্যে যে, আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু কর্মী এসব করেছে। এটা আমাদের কাম্য ছিল না। কিন্তু দুঃখ প্রকাশের পরিবর্তে তারা অব্যাহত হরতালের ডাক দিয়েছেন।’

বেতন বাড়ানোর দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পোশাকশ্রমিকদের ৫৬ শতাংশ মজুরি বাড়িয়েছেন। অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর পরও অনেকের মনে সংশয় আছে, দ্বিধা আছে। আমরা শুনতে পাচ্ছি তাদের সংশয়- সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড, ফোর্থ গ্রেড এগুলোর কী হবে? মালিকপক্ষ নিশ্চয়ই এগুলোর সমাধান করবেন, তারা তো ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন। সমাধান করার ক্ষেত্রটি আগুন নয়, সমাধান করার ক্ষেত্র ভাঙচুর নয়, সমাধান করার ক্ষেত্র রাস্তা অবরোধ করা নয়।’

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য যে বিষয়গুলো, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে আমরা যা পাচ্ছি, এর প্রায়গুলোই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। আমরা দেখেছি, কুষ্টিয়ার একজন নেতা কোনাবাড়িতে এসে শ্রমিকদের উৎসাহ দিচ্ছিল, তাদের ঐক্যবদ্ধ করছিল। বিভিন্ন স্থানে যেগুলো ক্যামেরাবন্দি হয়েছে, যাদের আমরা ধরতে পেরেছি- এর সবগুলোই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। এরাই নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছেন। তাদের জড়ো করছেন। সর্বক্ষেত্রে ফেল করে এ জায়গায় সফলতা পাওয়া যায় কিনা, তারই একটা ব্যবস্থা হয়ত তারা করতে চাচ্ছেন।’

মজুরির বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে শ্রমিকরা মালিকদের সঙ্গে বসে সমাধান করতে পারত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটি না করে তারা এসব করলে নিজেদের যেমন ক্ষতি হয়, দেশেরও ক্ষতি হচ্ছে, এটা তাদের চিন্তা করা উচিত।’

এর মানে শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে- জিজ্ঞাসা করতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই ইন্ধন আছে, আমরা সেটিই বলছি যে ইন্ধন রয়েছে।’

‘যারা জ্বালাও-পোড়াও করছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খুঁজে খুঁজে বের করছে’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ দেশের জনগণও যথেষ্ট সজাগ হয়েছে। জনগণও তাদের ধরিয়ে দিচ্ছে। আমরা অনেক জায়গায় দেখেছি, যারা পেট্রোলের বোতল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন, তাদের জনগণ ধরিয়ে দিচ্ছেন। জনগণ যখন ঘুরে দাঁড়াবেন, তখন এগুলো অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাবে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা কারাগারে, এ অবস্থা থাকলে তারা নির্বাচনে আসবেন কি না- প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না, এটা তাদের এখতিয়ার। আমাদের কথা হচ্ছে, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে লঙ্কাকাণ্ডের আগে আমরা বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে ধরিনি। সেখানে যখন নৃশংসতা ও বর্বরতা চলছে, তখন তারা মঞ্চে বসে ছিলেন। তারা তো দুঃখ প্রকাশ করতে পারতেন জাতির উদ্দেশ্যে যে, আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু কর্মী এসব করেছে। এটা আমাদের কাম্য ছিল না।

‘কিন্তু দুঃখ প্রকাশের পরিবর্তে তারা অব্যাহত হরতালের ডাক দিয়েছেন। একজন বাসের হেলপার শুয়ে ছিলেন; বাস পাহারা দিচ্ছিলেন; তাকেসহ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বাসটি। এতে কী প্রমাণ হয়? বিএনপির বড় বড় নেতারা কী দায় এড়াতে পারবেন? তারা বলতে পারতেন— তোমরা বাসে আগুন দিও না, তোমরা এ মানুষ হত্যা করো না। বিএনপি নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা এসব থেকে বিরত থাকবে বলেই আশা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর