বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দখলদার প্রতিরোধে প্রতিটি মার্কেটেই নিয়মিত নির্বাচন হবে: তাপস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:৫৪

মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা দেখি এখনও বেশিরভাগ মার্কেট অবৈধ দখলদার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত হচ্ছে। আমরা সেটা ভাঙার চেষ্টা করছি। আমরা চাই, প্রত্যেকটা মার্কেটে যথারীতি নির্ধারিত মেয়াদে নির্বাচন সম্পন্ন করে দোকানদার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মার্কেটগুলো পরিচালিত হবে।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন মার্কেটগুলোতে অবৈধ দখলদার প্রতিরোধে প্রতিটি মার্কেটেই নিয়মিত নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

রোববার ডিএসসিসির নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ বিপনী বিতান এবং ধুপখোলা মাঠ মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘দোকান বরাদ্দ লটারি’ অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা জানান।

মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা দেখি এখনও বেশিরভাগ মার্কেট অবৈধ দখলদার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত হচ্ছে। আমরা সেটা ভাঙার চেষ্টা করছি। আমরা চাই, প্রত্যেকটা মার্কেটে নিয়মিত নির্বাচন হবে। নিয়মিত দোকানদার প্রতিনিধিরা ভোটার হবে। তারা নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কার্যকর কমিটি নির্বাচিত করবে। প্রত্যেকটা মার্কেটে যথারীতি নির্ধারিত মেয়াদেই নির্বাচন সম্পন্ন করে দোকানদার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মার্কেটগুলো পরিচালিত হবে। এ জন্য আমরা ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং ইনশাআল্লাহ এটা আমরা নিশ্চিত করব। তাহলে শুধু আমাদের অংশেই নয়, মার্কেট অংশেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সবাই জবাবদিহিতার মাঝে আসবে।’

দোকান বরাদ্দে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার দেয়া হয় জানিয়ে তাপস বলেন, ‘দোকান বরাদ্দে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। তাদেরটা নির্ধারণ করার পরই বাকি যেগুলো নির্মাণের জন্য প্রস্তুত হয়, সেগুলো আমরা বাকি বরাদ্দ-প্রত্যাশীদের দিয়ে থাকি। আপনারা যারা দোকান বরাদ্দ পাবেন তাদেরকে অগ্রিম অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর যারা পাবেন না, তারা ৩০ দিনের মধ্যেই আপনাদের (জামানতের) অর্থ ফেরত পেয়ে যাবেন। এটাও কিন্তু একটি নতুন সংযোজন! অর্থ ফেরত পেতে কোনোরকম হয়রানি বা সমস্যা হয়েছে- এরকম কোনো নজির নাই। আগে দেখা গেছে যে, (জামানতের) অর্থ জমা দেয়া আছে ১২ বছর হয়েছে, কিন্তু সে অর্থ ফেরত পাননি, মার্কেটও নির্মাণ হয়নি। স্বচ্ছতা এবং সততার সঙ্গে আমাদের রাজস্ব বিভাগ কাজ করছে, এটি তারই একটি প্রতিফলন।’

‘শুধু নতুন নির্মাণই নয়, পুরনো মার্কেটও দ্রুত সংস্কার করে তা বরাদ্দপ্রাপ্তদের যথাযথভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে’ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো মার্কেট নির্মাণ করছি। ইতোমধ্যে সিদ্দিক বাজার মার্কেটের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে বরাদ্দকারীদেরকে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। লটারিসহ সকল কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আশা করি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা বরাদ্দপ্রাপ্তদের মাঝে সেটা হস্তান্তর করতে পারব।

‘মেরাদিয়া কাঁচা বাজার মার্কেট, আমরা সেটাও নির্মাণ করছি। এভাবেই সূচি অনুযায়ী আমরা একেকটি মার্কেটের নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করছি এবং সেগুলোর অগ্রগতি আমরা বারবার খেয়াল রাখছি। এছাড়াও আমরা নতুন মার্কেটগুলো যেভাবে নির্মাণ করছি, তার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো মার্কেটগুলোরও সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে আমাদের দোকানদারদের মাঝে সেগুলো হস্তান্তরের কার্যক্রম নিয়ে চলেছি।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ বহুতল বিপনী বিতানে ৩৫১ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ মোট ৪২৬ জন এবং ধুপখোলা মাঠ মার্কেটে ২৬৬ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ ৩৫৫ জন বরাদ্দগ্রহীতাকে দোকান বরাদ্দের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর