নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি) শুনানির জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার এ দিন ঠিক করে দেন।
জামায়াতের পক্ষে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।
জামায়াতের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে আইনজীবী মো. জিয়াউর রহমান সময় আবেদন করেন।এ সময় অপরপক্ষে ছিলেন তানিয়া আমীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা এবং নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পরও রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিবন্ধন ফেরত চাওয়া তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেন মওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, মো. হুমায়ন কবির ও ইমদাদুল হক নামে তিন ব্যক্তি। এ আবেদনেরও শুনানি হবে একসঙ্গে।
আবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে। রায় বহাল থাকাবস্থায় গত ১০ জুন জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সভা-সমাবেশ করেছে। উচ্চ আদালতের রায়ের পর দলটির এ ধরনের কর্মসূচি পালন বেআইনি ও একইসঙ্গে উচ্চ আদালতের রায়ের লঙ্ঘন। কারণ রায়ে বলা হয়েছে, দল হিসাবে জামায়াতের নিবন্ধন সংবিধান ও গণ-প্রতিনিধিত্ব আদেশের পরিপন্থী। অতএব কোনোভাবেই দলটি সভা-সমাবেশ করার অনুমতি পেতে পারে না।
এছাড়া নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য। কিন্তু এরপরেও সভা-সমাবেশে দলটির নিবন্ধন দাবি করে বক্তব্য প্রদান আদালত অবমাননার শামিল।
১০ বছর পর গত ১০ জুন রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করে জামায়াত। এ কর্মসূচি থেকে তাদের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবি করেন। যা নিয়ে দেশব্যাপিল আলোচনার ঝড় উঠে।
২০০৯ সালের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে জামায়াত। যা এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।