বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুষ্ঠ রোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ১৩:৩৫

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার বিকাশে হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স, বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ট্যাক্স একেবারে শূন্য করে দেই। বেসরকারি উদ্যোক্তা যাতে সৃষ্টি হয়, সে জন্য তাদের উৎসাহিত করি।’

কুষ্ঠ রোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের সমাজের অংশ, পরিবারের অংশ। তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করুন।’

রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার দ্বিতীয় জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

স্বাস্থ্যকর্মী-ডাক্তার-নার্সসহ, বিভাগ, সংস্থা, সেই সঙ্গে সব নাগরিককে কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবহেলা না করে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান সরকার প্রধান।

তিনি বলেন, ‘কুষ্ঠ রোগীরা যার যার পরিবারের সম্পদেরও অংশীদার, এটা আমাদের ইসলাম ধর্মেও আছে। কুষ্ঠ রোগ চিকিৎসা করলে ভালো হয়ে যায়। তাই তাদেরকে সুচিকিৎসা করান।’

এ ছাড়াও শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা বাচ্চা শিশু যদি হিজড়া বা প্রতিবন্ধী হয়, তার বাবা-মা ফেলে দিতে পারে না। ফেলে দেয়া উচিত না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর পর আমরা সরকার গঠন করি, জনগণের সেবার সুযোগ পাই। তখন থেকে আমাদের প্রচেষ্টায় এ দেশের মানুষকে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া, এটা জাতির পিতাই শুরু করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার বিকাশে হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স, বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ট্যাক্স একেবারে শূন্য করে দেই। বেসরকারি উদ্যোক্তা যাতে সৃষ্টি হয়, সে জন্য তাদের উৎসাহিত করি।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিভিন্ন ইনস্টিটিউট আমরা প্রতিষ্ঠা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করব, সেই পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। প্রায় ১০ হাজারের মতো ক্লিনিক আমরা নির্মাণ করি, এর মধ্যে চার হাজার চালু করি।’

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটাই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য। ২০০১ সালে অক্টোবরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসতে পারেনি। তখন বিএনপি ক্ষমতায় আসে, প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। সঙ্গে সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেন। স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেন।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের স্বাস্থ্যসেবার দিকে বিশেষ নজর দেন বলে জানান তিনি। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান জাতিসংঘকে। জাতিসংঘের সব সদস্য দেশ তাদের সম্মতিতে কমিউনিটি ক্লিনিককে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রণমূলক পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা পোলিও নির্মূল করেছি। মা ও শিশুর মৃত্যুহার হ্রাস করেছি। আমাদের টিকাদান কার্যক্রম সারা বিশ্বেই প্রশংসিত হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খেয়েছে, আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি।’

কুষ্ঠ রোগীর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি দেখেছি অনেক কুষ্ঠ রোগী মাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে একটা সুর করে ভিক্ষা চাইতে আসতেন। যেকোনো অকেশনে তারা আমার কাছে আসতেন। আমি তাদের কখনও অবহেলা করিনি। তারা এলে বসাতাম, খাবার দিতাম।’

এ বিভাগের আরো খবর