বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাভারে শ্রমিক বিক্ষোভ: বন্ধের পর খুলেছে ৭০ কারখানা

  • প্রতিনিধি, সাভার   
  • ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:৫১

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর এসপি মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘শ্রমিক অসন্তোষের মুখে নিরাপত্তার কারণে গতকাল (শনিবার) সাভার আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে ১৩০টি তৈরি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করে মালিকপক্ষ।’

ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা দুই সপ্তাহের শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণার পর আজ বেশির ভাগই খুলে দেয়া হয়েছে।

নিরাপত্তা শঙ্কায় মালিকপক্ষ শনিবার ১৩০টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলেও রোববার সকালে ৭০টি কারখানা খুলে দিয়েছে বলে জানায় শিল্প পুলিশ।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর এসপি মোহাম্মদ সারোয়ার আলম ৭০টি কারখানা খুলে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে রোববার সকালে আশুলিয়ার জামগড়া, বেরণ, ছয়তলা ও নরসিংহপুর এলাকায় বিভিন্ন কারখানার সামনে গিয়ে বন্ধের নোটিশ টানানো দেখা গেছে। ওই সময় কারখানারগুলোর ফটকের সামনে অনেক শ্রমিক কাজে যোগ দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

বেরণ এলাকার এনভয় গ্রুপের মানাটা গার্মেন্টসের এক শ্রমিক বলেন, ‘গতকাল কারখানার সামনে এসে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখে বাসায় ফিরে গেছি। আজও এসে দেখি কারখানা বন্ধ। কবে খুলবে তাও জানি না। সারা দিন কাজ করে অভ্যাস। তাই বাসায় বসে থাকতেও ভালো লাগে না।’

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর এসপি মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘শ্রমিক অসন্তোষের মুখে নিরাপত্তার কারণে গতকাল (শনিবার) সাভার আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে ১৩০টি তৈরি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করে মালিকপক্ষ।

‘যার মধ্যে আশুলিয়ায় বন্ধ ছিল শতাধিক পোশাক কারখানা। এখনও ৬০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। যার অধিকাংশই আশুলিয়ার।’

তিনি জানান, এখন সাভার শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্ধ কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।

কারখানাগুলোর সামনে টানানো শনিবারের নোটিশে বলা হয়, ৯ নভেম্বর সকাল ১০টায় এবং বিগত কয়েকদিন ধরে বেলা ১১টা ও বিকেল ৩টার সময় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বহিরাগত পোশাক শ্রমিকদের বেআইনিভাবে কারখানার ভেতর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে কারখানা ভাঙচুর ও কারখানার কাজ বন্ধ রাখাসহ কর্মস্থলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করায় কারখানার উৎপাদন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এমতাবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ১০ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল।

এ বিভাগের আরো খবর