বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অপ্রতিরোধ্য মার্শ, হার দিয়ে বিদায় বাংলাদেশের

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:৪৭

আজকের ম্যাচ জয়ের ফলে ৯ ম্যাচের সাতটি জিতে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করল অস্ট্রেলিয়া। আর মাত্র দুই জয়ে টেবিলের আট নম্বর দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে সেমিফাইনালের মিশনে ভারত যাওয়া বাংলাদেশকে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে চলতি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলেও সে ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি টাইগাররা। ফলে গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় সেমিফাইনালের আশা। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু সে আশাও পূরণ হলো না টাইগারদের।

প্রথমে ব্যাট করে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম তিন শ’ পার করা ইনিংস খেললেও টাইগারদের হতাশ করেছেন মিচেল মার্শ। তার অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংসের কারণেই এ ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগই পায়নি নাজমুল হাসান শান্তর দল। অবশ্য শুধু মার্শই নয়, ট্রাভিস হেড ছাড়া বাকি সবাই বাংলাদেশি বোলারদের কাছ থেকে রান আদায় করেছেন।

টস হেরে আজ প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেটে ৩০৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৪.৪ ওভারে দুই উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া।

দলের হয়ে ১৭৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন মিচেল মার্শ। এছাড়া স্টিভেন স্মিথ ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন; অন্যদিকে ডেভিড ওয়ার্নার করেন ৫৩ রান।

ওয়ার্নার ও মার্শের ১২ রানের জুটিই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ছবি: ক্রিকিইনফো

৩০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ট্রাভিস হেডকে ইনসাইড এজে বোল্ড করে বিদায় করেন তাসকিন। হেড ১০ বলে ১১ রান করে ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন মিচেল মার্শ। ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২০ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে সরিয়ে দেন তিনি।

প্রথম পাওয়ার প্লেতে দেখেশুনে খেলে ৫৮ রান তুললেও মাঠ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রানের চাকাও দ্রুত ঘোরাতে থাকেন এই দুজন। ওয়ার্নার অবশ্য দেখেশুনেই খেলছিলেন। তবে ৬১ বলে ৫২ রান করে ওয়ার্নার ফিরে গেলে স্মিথ এসে ওয়ার্নারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

সেঞ্চুরির পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন মার্শ। শেষ পর্যন্ত ৩২ বল বাকি থাকতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মার্শ ও স্মিথ।

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের সামনে কোনো সুবিধাই করতে পারেননি তাসকিন-মোস্তাফিজরা। ছবি: ক্রিকইনফো

এর আগে প্রথম ইনিংসে দলীয় পারফরম্যান্সের এক বিরল নজির প্রদর্শন করেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। বড় সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক রেখে যিনি ব্যাট হাতে নেমেছেন, তিনিই রান বের করার চেষ্টা করেছেন। এক তাওহীদ হৃদয় ছাড়া আর কেউই হাফ সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও প্রথম সাত ব্যাটারই বিশের ওপর নিয়ে গেছেন ব্যক্তিগত স্কোর।

শেষের দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ দলীয় সংগ্রহ বড় করার একটা চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলেই শন অ্যাবটের বলে কাটা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ২০ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে যান। আর পরের পাঁচ বলে আরও এক উইকেট হারিয়ে মাত্র তিন রান করতে সমর্থ হন তিন ব্যাটার। ফলে টেনেটুনে তিন শ’ পার করে ইনিংস শেষ করে টাইগাররা।

হাফ সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও রান আউটের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে সাকিবের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলকে দিশা দেখানো নাজমুল হোসেন শান্তকে। ছবি: ক্রিকইনফো

এটিই ছিল চলতি বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশের একমাত্র তিন শতাধিক রানের ইনিংস।

আজ রান আউটের শিকার হয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশের তিন ব্যাটার। বাকি উইকেটগুলোর মধ্যে দুটি করে নিয়েছেন অ্যাডাম জ্যাম্পা ও শন অ্যাবট এবং একটি উইকেট গিয়েছে মার্কাস স্টইনিসের ঝুলিতে।

আজকের ম্যাচ জয়ের ফলে ৯ ম্যাচের সাতটি জিতে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করল অস্ট্রেলিয়া। আর মাত্র দুই জয়ে টেবিলের আট নম্বর দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে সেমিফাইনালের মিশনে ভারত যাওয়া বাংলাদেশকে।

তবে এমন হারের ফলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে অংশগ্রহণেও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে টাইগারদের। এক্ষেত্রে তাদের ভারত ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। বেঙ্গালুরুতে রোববার ভারতের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস কোনো পয়েন্ট না পেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।

গত চার বিশ্বকাপের প্রতিটিতে অন্তত তিনটি করে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই অর্জনটুকু নিয়েও ঘরে ফিরতে পারেনি টাইগাররা।

এ বিভাগের আরো খবর