২৮ অক্টোবর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশ চলাকালে নয়াপল্টনে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজ হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাভারের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকার সেনা শপিং কমপ্লেক্স থেকে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪-এর একটি দল।
গ্রেপ্তার গোলাম মোস্তফা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর এলাকার বাসিন্দা।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন এলাকায় নৃশংসভাবে পিটিয়ে পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশে পল্টন এলাকার কালভার্ট রোডের পূর্বপ্রান্তে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত ছিলেন। ওই দিন দুপুর তিনটার দিকে কতিপয় দুষ্কৃতকারী আকস্মিকভাবে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। উক্ত ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।
সেসময় পুলিশ সদস্য কনস্টেবল আমিরুল আত্মরক্ষার্থে ডিআর টাওয়ারে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী তাকে রাস্তার ওপর ফেলে ইট, লাঠি ও রড দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে নৃশংসভাবে আঘাত করে যার ফলে পুলিশ সদস্য কনস্টেবল আমিরুল গুরুতর আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্রধারী ও ছিনতাই চক্রের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে সাভারসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মারামারি, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘র্যাবের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার গোলাম মোস্তফাকে আমাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতা মামলাও রয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’
এর আগে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমানউল্লাহ আমানকে ৬ নভেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব।
এ ছাড়াও এ মামলায় গ্রেপ্তার বাকি চারজন হলেন সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আনসার উদ্দিন, যুবদল নেতা ফয়সাল আহমেদ আপন, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শামীম রেজা ও ডেমরার মো. সুলতান।