বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আরেকটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের মরিয়া উদ্যোগ দেশের জনগণ বানচাল করবে।’
বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারির পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখারও ইঙ্গিত দেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য পুরো জাতির নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। অর্থনীতি ও রাজনীতি ধ্বংস করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে।
‘তারা আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে বঞ্চিত-নিপীড়িত জনগণ তাদের একতরফা নির্বাচন হতে দেবে না।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই অবরোধ কর্মসূচি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি বানচাল করতে সরকার মারাত্মক দমনমূলক নীতি গ্রহণ করেছে।
‘তারা বিরোধীদলীয় অনেক নেতা-কর্মীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করেছে। র্যাব-পুলিশ, বিজিবি ও আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে গঠিত পেটোয়া বাহিনী জনগণের সঙ্গে সহিংস আচরণ করছে।’
রিজভী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পূববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৩৬৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে ৯ হাজার ৮৩১ জন বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
‘আওয়ামী লীগ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে মারাত্মক দমনমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে বাংলাদেশকে একটি দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বেপরোয়া আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে জনগণ সড়ক-মহাসড়কে মানববন্ধন করে অবরোধ অব্যাহত রাখবে। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তি এবং আমাদের এক দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের এমনকি বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে মন্তব্য করে ফ্যাসিবাদের ভয়াবহ রূপ উন্মোচন করছে।
‘ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা একজন রাষ্ট্রদূতকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি দিয়েছেন এবং অন্য সিনিয়র নেতারা ক্রমাগত কুৎসিত ও ভয়ানক বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন যে জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অসংযত মন্তব্য করছেন।’