পুলিশের করা নাশকতা মামলায় কারাগারে পাঠানো বরিশাল বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৪ নেতাকে জামিন দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা তাদের জামিনের আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীন, মহানগরের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুল, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী ফিরোজ আলম এবং দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাকলাইন মোস্তাক।
বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের নাশকতা মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে পাঠানো ১৫ জনের জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। তাদের মধ্যে ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত, বাকি ১১ জনের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
জামিন না পাওয়া নেতা-কর্মীরা হলেন- বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বরিশাল-৬ আসনের সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শামসুল আলম মন্টু, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব হানিফ হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দ্বীন ইসলাম ইকো, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক কিরণ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস হাওলাদার, নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য, আসলাম হাওলাদার, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মশিউর রহমান টিটু এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব শেখ সাব্বির।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, অবরোধের সমর্থনে গত ১ নভেম্বর নাশকতামুলক কর্মকাণ্ড সংঘঠনের উদ্দেশ্যে নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোড এলাকায় জড়ো হয়বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ১৫ নেতা-কর্মীকে আটক করে।
পরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই খোকন চন্দ্র দে বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় নামধারী ১৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করা হয়।