বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে এবার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষা

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:৪৪

আপাতত র‍্যাম্প ছাড়াই চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হচ্ছে। আগামী বছর র‍্যাম্প নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এটি চালু হলে ২০ মিনিটে বিমান বন্দরে পৌঁছে যাবেন যাত্রীরা।

নদীর তলদেশে টানেলের পর চট্টগ্রামে এবার চালু হতে যাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আগামী ১৪ নভেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) আরও দুটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তিনি।

আপাতত র‍্যাম্প ছাড়াই চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হচ্ছে। আগামী বছর র‍্যাম্প নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এটি চালু হলে ২০ মিনিটে বিমান বন্দরে পৌঁছে যাবেন যাত্রীরা।

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘আগামী ১৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বায়েজীদ সংযোগ রোড ও এক্সেস রোড প্রকল্প উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম নগরে সড়ক যোগাযোগে বড় পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। নগরীর পতেঙ্গা প্রান্তে বঙ্গবন্ধু টানেলের পাশেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মূল শহর থেকে সেখানে গিয়ে সংযুক্ত হবে।

অপরদিকে এটি বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু হয়ে ইপিজেড-বন্দর-বারেকবিল্ডিং-চৌমুহনী হয়ে দেওয়ানহাট রেলসেতুর পশ্চিম পাশ দিয়ে পাহাড় ঘেঁষে টাইগার পাস মোড়ের পর মূল সড়কের ওপর দিয়ে লালখান বাজার মোড় পেরিয়ে ওয়াসার মোড়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে গিয়ে মিলবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএ বলছে, ‘জনদুর্ভোগ কমাতে’ র‌্যাম্পের কাজ শুরু হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অংশের কাজ শেষ হওয়ার পর। আগামী বছর জুনে র‌্যাম্পগুলো চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছেন তারা।

নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুনে শেষ করার সময় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হচ্ছে।

র‌্যাম্প বাদে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মূল প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা সি-বিচ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ কিলোমিটার ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এই অংশের উদ্বোধন হচ্ছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই প্রকল্পের মূল ফ্লাইওভারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে ওয়াসা থেকে টাইগারপাস অংশের কাজ চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন সি-বিচ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত সম্পন্ন হওয়া ফ্লাইওভারের অংশ। মূল ফ্লাইওভারের অবশিষ্ট কাজ শেষ হলে ১৪টি লুপ র‌্যাম্পের কাজ শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল কাঠামোর কাজ শেষ না করে র‌্যাম্পের কাজ করা যাবে না। তাছাড়া র‌্যাম্পের কাজ শুরু হলে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে যানজটের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।

‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়ে গেলে নিচের মূল সড়কে চাপ কিছুটা কমবে। তখন র‌্যাম্পের কাজ করা তুলনামূলক সহজ হবে। র‌্যাম্পের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ তৈরির কাজ চলছে।’

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কাজ শুরু হলেও ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন হওয়ার সময় ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি তিন বছরের মধ্যে শেষ করার সময় ঠিক করা হয়েছিল।

পরে ২০২২ সালে নকশা ‘সংশোধন’ করে আরও এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা (আগের ব্যয়ের চেয়ে ৩২ শতাংশ) ব্যয় বাড়িয়ে মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার হতে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ নামে প্রকল্পের কাজ শুরুর পর চট্টগ্রাম বন্দরের আপত্তি, জমি অধিগ্রহণের জন্য অপেক্ষা, ট্রাফিক বিভাগের অনুমতি না পাওয়া, লালখান বাজার অংশের নকশা নিয়ে আপত্তি, কোভিডের সময় কাজে ধীরগতি, বিকল্প সড়ক চালু করতে দেরি এবং সবশেষ বন্দর সংলগ্ন এলাকায় নকশা পরিবর্তনসহ নানা কারণে প্রকল্প কাজে বিলম্ব হয়।

সবশেষ ২০২২ সালের সংশোধিত প্রস্তাবে চট্টগ্রাম বন্দরে চলাচলকারী যানবাহনের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত রাখতে প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্টে পরিবর্তন করা হয়। এ ছাড়া বন্দরের গাড়ি সহজে চলাচলের জন্য যথাযথ ‘ফাউন্ডেশন, সাব স্ট্র্যাকচার ও সুপার স্ট্র্যাকচার’ তৈরি করে নতুন নকশায় অ্যালাইনমেন্ট করার প্রস্তাব করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর