বিএনপিসহ বিরোধীদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধের মধ্যে ‘উচ্ছৃঙ্খল জনতা’ দেশজুড়ে ২৭ ঘণ্টায় ১৩টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীর মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘৮ নভেম্বর বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা (২৭ ঘণ্টা) পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ১৩টি আগুনের সংবাদ পাওয়া গেছে। ঢাকা সিটিতে (হাজারীবাগ, তাঁতীবাজার, কাকলী, মিরপুর, ধানমন্ডি) পাঁচটি, ঢাকা বিভাগে (গাজীপুর) তিনটি, চট্টগ্রাম বিভাগে (খাগড়াছড়ি) একটি, রাজশাহী বিভাগে (শিবগঞ্জ, বগুড়া) একটি, বরিশাল বিভাগে (গৌরনদী, বরগুনা) দুটি, চট্টগ্রাম বিভাগে (নোয়াখালী) একটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাতটি বাস, চারটি কাভার্ড ভ্যান, দুটি ট্রাক পুড়ে যায়।’
কোন কোন জায়গায় গাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে, সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের এ কর্মকর্তা জানান, বুধবার ভোররাত পাঁচটা ২৫ মিনিটে গাজীপুরের কালীগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেয়া হয়। ওই দিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন ধরানো হয়। একই দিন সন্ধ্যা ছয়টা আট মিনিটে গাজীপুরের মাওনায় একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটে।
তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাতটা ২৫ মিনিটে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার মোড়ে আকাশ পরিবহনের বাসে আগুন দেয়া হয়। রাত আটটা আট মিনিটে বনানীর কাকলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মিনিবাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। রাত ৯টা ২২ মিনিটে রাজধানীর জিগাতলায় রমজান পরিবহনের বাসে আগুনের ঘটনা ঘটে।
ঢাকার বাইরের আগুনের ঘটনাগুলো নিয়ে তালহা জানান, বুধবার রাত আটটা ৫৫ মিনিটে বগুড়ার শিবগঞ্জের চণ্ডিপাড়ায় ট্রাকে আগুন দেয় উচ্ছৃঙ্খল জনতা। রাত সোয়া ৯টার দিকে বরগুনার আমতলীতে সাকুরা পরিবহনের বাসে আগুন দেয়া হয়। রাত ১১টা ২৭ মিনিটে বরিশালের গৌরনদীর বাটাজোর এলাকায় কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বুধবার গভীর রাত পৌনে ২টায় গাজীপুরের শ্রীপুরে কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। রাত দুইটায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমিনবাজারে ট্রাকে আগুন দেয়া হয়। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোররাত পৌনে পাঁচটার দিকে রাজধানীর হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ এলাকায় ভিআইপি পরিবহনের বাসে এবং ভোররাত পাঁচটা ৩৭ মিনিটে মিরপুর ১৩ নম্বরে প্রজাপতি পরিবহনের বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।