বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুন্দরবনে রাতে বাঘের দেখা

  • প্রতিনিধি, বাগেরহাট   
  • ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ২৩:০৯

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের চত্বরে মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে বাঘটি দেখতে পান বনরক্ষীরা। সেই দৃশ্য ভিডিও করেন তারা। পরে বাঘটিকে কৌশলে বনের গভীরে তাড়িয়ে দেন বনরক্ষীরা। রাত ১২টার দিকে আবারও বাঘটির উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বন বিভাগের অফিস চত্বরে আবারও দেখা মিলেছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের। মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের চত্বরে বাঘটি দেখতে পান বনরক্ষীরা। টর্চলাইট মেরে সেই দৃশ্য ভিডিও করেন তারা।

বাঘটিকে এক পর্যায়ে কৌশলে বনের গভীরে তাড়িয়ে দেন বনরক্ষীরা। রাত ১২টার দিকে আবারও বাঘটির উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।

এদিকে ঘটনার পর থেকে রাতে কোনো বনরক্ষীকে একা বের হতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান।

এ নিয়ে চলতি বছরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন অফিস চত্বরে চারবারে ছয়টি বাঘের দেখা পেয়েছেন বনরক্ষীরা।

৭ অক্টোবর রাতে ধানসাগর ফরেস্ট স্টেশন অফিসের বনরক্ষীদের ব্যারাকের সামনে দুটি বাঘ দেখা যায়। ৮ আগস্ট সকালে কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বনরক্ষীদের ব্যারাকের খুব কাছে চলে আসে একটি বাঘ। এ সময় মোবাইলে বাঘটির ভিডিও ধারণ করেন বনরক্ষীরা।

এছাড়া গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রেঞ্জের চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ি অফিসের পুকুরপাড়ে দেখা মেলে জোড়া বাঘের। প্রায় ২২ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে বাঘ দুটি বনে ফিরে যায়।

এসিএফ শেখ মাহাবুব হাসান বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে অফিস চত্বরে কয়েকটি হরিণ ঘাস খাচ্ছিল। এমন সময় বনের ভেতর থেকে বিশাল একটি বাঘ এসে আক্রমণ করে হরিণের পালে। ব্যারাক থেকে বনরক্ষীরাও বিষয়টি দেখতে পান এবং কিছু দৃশ্য ভিডিও করেন। এ সময় নানাভাবে শব্দ করে বাঘটিকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।

‘রাত ১২টার দিকে হরিণের অস্বাভাবিক ডাকাডাকি শুনতে পান বনরক্ষীরা। এতে ধারণা করা হচ্ছে বাঘটি গভীর রাতে আবারও ওই এলাকায় এসেছিল। বাঘ দেখার পর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই হয়তো সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও অফিসের চারপাশে বিভিন্ন স্থানে বাঘের পায়ের অসংখ্য ছাপ দেখতে পেয়েছি। এ থেকে বোঝা যায় এর আগেও বাঘ এসেছিল অফিস চত্বরে।’

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নূরুল করিম বলেন, ‘শরণখোলা রেঞ্জ অফিসটির পূর্ব পাশ থেকেই গহীন বন এবং পশ্চিম পাশে ভোলা নদী। তাই পূর্ব পাশ থেকেই বাঘ, হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী অফিস চত্বরে সহজেই প্রবেশ করে।

‘পূর্ব পাশের পৌনে এক কিলোমিটার এলাকা যদি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকানো যায় তাহলে আর কোনো বাঘ ঢুকতে পারবে না। আর নিরাপদে থাকবেন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীরা।’

এ বিভাগের আরো খবর