বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানুষ কষ্টে নেই, নারীরা দিনে তিনবার লিপস্টিক দিচ্ছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:১৯

মন্ত্রীর কথায়, তার এলাকার নারীরা দিনে তিনবার লিপস্টিক লাগাচ্ছেন, চারবার স্যান্ডেল বদলাচ্ছেন। তারা ভালো আছেন।

সারা দেশে নিম্ন আয়ের মানুষ আর্থিক কষ্টে আছে, এ দাবি স্বীকার করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, তবে তার নিজের নির্বাচনি এলাকার (রংপুর-৬-পীরগাছা-কাউনিয়া) মানুষের অবস্থা এখন কিছুটা ভিন্ন।

মন্ত্রীর কথায়, তার এলাকার নারীরা দিনে তিনবার লিপস্টিক লাগাচ্ছেন, চারবার স্যান্ডেল বদলাচ্ছেন। তারা ভালো আছেন।

বুধবার সচিবালয়ে জাতীয় ট্যারিফ পলিসির তদারক ও পর্যালোচনা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে টিপু মুনশি এ কথা বলেন।

এলাকায় ভোট চাইতে গেলে দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রশ্ন করলে কী জবাব দেবেন-সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করেন বাণিজ্যমন্ত্রীকে। তিনি জবাবে বলেন, ‘ধরেন, আমার এলাকা, আমার এলাকার মানুষের কষ্ট নেই। কারণ তারা আলুর দাম পাচ্ছে। আমাদের তো কৃষিভিত্তিক এলাকা। একটা এলাকা একেক রকম। ঢাকা শহরে যে নির্বাচন করবে, তার অনেক সমস্যা। কিন্তু আজ থেকে ২০ বছর আগে আমার এলাকায় ১০টা মোটরসাইকেল ছিল, ২০০১ সালে। তখন আমি প্রথম নির্বাচন করি। আজকে সেখানে হাজার হাজার মোটরসাইকেল।

‘আমার এলাকা আলুভিত্তিক। কৃষিভিত্তিক। তাদের কোনো কষ্ট নেই। সেখানকার নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে। চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে। আমি খুব ভালো জানি আমার এলাকায় কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সারা দেশের অবস্থাটা ভিন্ন। শহরের যারা দিনমজুর, নিম্নশ্রেণির তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।’

সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে, এই প্রভাব কাটানো কি সম্ভব হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রভাব কাটানো সম্ভব হবে, যদি আপনারা ইতিবাচক হন। বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক কারণে এটা হয়েছে। কাজেই এটিকে বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনে প্রভাব ফেলা ঠিক হবে না। এটা নির্ভর করে আপনারা কতটুকু ইতিবাচক হবেন, তার ওপর।’

পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত হলেও শ্রমিকদের একাংশ তা না মানার বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে টিপু মুন্সি বলেন, ‘শতভাগ শান্তি নিশ্চিত করা যায় না। কেউ খুশি হবেন, কেউ অখুশি হবেন। যারা খুশি নন, তারা যদি ২০ হাজার টাকা বেতন পেতেন, তাহলে হয়তো খুশি হতেন। আমাদের একটি জায়গায় আসতে হবে, যেখানে দুই পক্ষই রক্ষা হয়। সবাইকে ১০০ ভাগ সন্তুষ্ট করা যায় না।’

দাম বেড়ে যাওয়ার পর সরকার আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় কেন, এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলু আমদানি করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। আমরা যে দুই মাস আগে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি, তখন তাদের অনুমতি নিয়েছি। তারাও এটা চিন্তা করে। একইভাবে ডিমের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়। যদি পেছনের সমর্থন না পাই, তাহলে আমরা অনেক সময় করতে পারি না। সংকট যখন প্রকট হয়ে যায়, তখন তারা মেনে নেয়, কিন্তু তখন আবার অনেক দেরি হয়ে যায়।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশে পণ্যের উৎস একটা হলো দেশীয় উৎপাদন, আরেকটা হলো আমদানি। বিভিন্ন জিনিসের বিভিন্ন রকম অবস্থা। যেমন পেঁয়াজের দাম কবে কমবে, তা সবাই জানেন-যখন নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠবে, কৃষক যখন ফসল ঘরে তুলবেন। হয়তো আগামী মাসে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠবে, তখন হয়তো পেঁয়াজের দাম কমবে। আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় ২০ শতাংশ ঘাটতি আছে পেঁয়াজে। আমদানির বড় অংশ ভারত থেকে আসে। সেখানেও দাম বেড়ে গেছে। পেঁয়াজের জন্য ভবিষ্যতে আমাদের নিজেদের উৎপাদনের ওপর নির্ভর করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের শেষ দিকে বাজারে যখন আলু উঠতে শুরু করবে, তখন সেটির দামও কমবে। এখন এটা গেল নিজেদের উৎপাদনের বিষয়। আবার যখন আমরা তেল ও চিনির কথা বলি, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর বিভিন্ন আইনি জটিলতায় ডিম আমদানিতে কিছুটা সময় লেগেছে। প্রথম একটা চালান ঢুকে গেছে। ডিম এখন ১১ কিংবা সাড়ে ১১ টাকায় পাওয়া যায়। আশা করি আরও ডিম এলে নির্ধারিত দামে পাওয়া যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর