‘কিছু কিছু রাষ্ট্রদূতকে আমরা অতীতে এককভাবে ডেকে তাদের কার্যপরিধির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। নির্বাচনের আগে তারা সতর্ক থাকবেন; কারণ অতীতে (৬ মাস আগে) তারা যা বলেছেন এখন তার প্রভাবটা অনেক বেশি।’
তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রদূতের সীমার বিষয়ে তলব করা হবে কি না- বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সবাই নির্বাচনমুখী হয়েছেন। যারা আন্দোলন করছেন তাদের ভাষায় তারা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন। আমি মনে করি না রাষ্ট্রদূতদের তলবের প্রয়োজন হবে। যদি প্রয়োজন হয় তবে তা হবে দুঃখজনক।
‘তবে আমাদের আইন প্রয়োগেরও সুযোগ রয়েছে। যেটি উপযুক্ত মনে হবে তা আমরা করব।’
মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকারের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। আদালতে রিভিউ বিচারাধীন। নবায়নের জন্য আদালতে তারা একটি পিটিশন দিয়েছিল, যা খারিজ হয়ে গেছে।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘কোনো মানবাধিকার সংস্থা অধিকার-এর বরাতে কোনো তথ্য উপস্থাপন করলে সেটি আমরা সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করব এবং সেটির উত্তর দিতে আমরা বাধ্য নই।
‘তারা একই জিনিস অন্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারে। সেটিকে আমরা ভালোভাবে নেব, যদি সেটি আমাদের সংবিধানের আলোকে হয়। সামাজিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসগুলো আছে, তার আলোকে যদি হয় তাহলে অবশ্যই আমরা তা আমলে নেব।’
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’