কিশোরীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারণের পর ছড়ানোর দায়ে এক ব্যক্তিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর আদালত।
আদালত সাজাপ্রাপ্তকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও নয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আলাদা ধারায় আসামি সিরাজুল ইসলাম শিরুকে (৫৬) এসব দণ্ড দেয়া হয়। শিরুর বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর এলাকায়।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এজাহারের বরাত দিয়ে ইসমত জানান, ২০২০ সালের আগস্টে শিরু একই এলাকার এক কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। কিশোরী রাজি না হলে একপর্যায়ে গলায় চাকু ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন শিরু। এ ছাড়াও কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সংরক্ষণ করেন তিনি।
পরবর্তী সময়ে ওই ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ভাইরাল ও কিশোরীর ছোট ভাইকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার হুমকি দেন শিরু। পরে ওই কিশোরীর হবু বরের কাছে ভিডিও ও ছবি পাঠালে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিশোরী। ঘটনা জানার পর কিশোরীর বাবা আলাদা দুইটি মামলা করেন।
আইনজীবী জানান, রায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫(১), ২৬(১) ও ২৯(১) ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড; ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫ (২) ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৯ (২) ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, আলাদা ধারায় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আসামির সাত বছরের কারাদণ্ড হলেও তাকে কারাগারে কাটাতে হবে তিন বছর।
রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম শিরু। পরে তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়।