বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি নেতারা কোথায়, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ২২:৩৫

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোন ইউনিয়ন, কোন দেশ বিবৃতি দিল তাতে কিছু আসে যায় না। আমার দেশের আইনে আমার দেশের অপরাধীকে আমি বিচার করতে পারব না- এটা কোন গণতন্ত্র? কোথা থেকে এল এ আদেশ? আদালত আছে, কেউ নিরপরাধ হলে আদালত তাকে মুক্তি দেবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্র করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে চেপে বসেছিল। তার উত্তরসূরিরা আজও বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বহন করে চলেছে। রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। কয়েকদিন আগেও তারা এতো এতো বাগাড়ম্বর করলো। কিন্ত এখন কোথায় তারা? তাদের বাড়াবাড়ি কই গেল?

‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৭ নভেম্বর বিএনপির জাতীয় দিবস। এদিন তাদের উত্থানের দিন। নিজেদের জাতীয় দিবসে যারা ভয়ে কর্মসূচি স্থগিত করে, তাদের মতো ভীতু কাপুরুষ হয়?

‘এই কাপুরুষদের রাজনীতি করা মানায়? তাদের আন্দোলনের সাহস এখানেই তো দেখা গেলো। তাদের দল কেন করবে মানুষ?’

প্রসঙ্গত, ৭ নভেম্বর দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি। এদিন দলটি প্রতিবছর কর্মসূচি পালন করলেও এবার কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। অন্যদিকে এ দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আওয়ামী লীগ।

৭ নভেম্বরের আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এদিন আমরা মুক্তিযোদ্ধা হত্যার দিন পালন করি। ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তাক্ত কলঙ্কজনক দিনগুলোর একটি ৭ নভেম্বর। এদিন সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের নামে কর্নেল তাহের ক্যান্টনমেন্টে বন্দি জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করেন। ফলাফলে জিয়া কর্নেল তাহেরকে হত্যা করেন।’

জিয়াউর রহমান রাতের খাবার খেতে খেতে ফাঁসির আদেশ দিতেন বলে মন্তব্য করেন কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২৮ তারিখ (অক্টোবর) চলে গেল। আহারে, কত স্বপ্ন! আমীর খসরু ২৮ তারিখে কর্ণফুলীতে ফেলে দেবেন। সেই ২৮ তারিখেই শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে যাওয়া টানেল উদ্বোধন করেছেন।

‘তারা এখন কোথায়? সব পালিয়েছে। নয়াপল্টনে দাঁড়িয়ে তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি পালাচ্ছে, শেখ হাসিনা পালাচ্ছে। শেখ হাসিনা এখন সৌদি আরবে হজ করছেন। আপনারা কে কোথায়? কেন আজ কারাগারে? যারা কারাগারে, তারা দায় অস্বীকার করতে পারবেন না।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে মারামারি বাধিয়ে, একজন পুলিশকে নির্মমভাবে হত্যা করে, পুলিশের ওপর হামলা করে...। সেই সময় মির্জা ফখরুল ভাবলেন, আরে ঘটনা তো খারাপ। তখনই মির্জা ফখরুল সাহেব লাফ দিয়ে নিচে নেমে গেলেন।

‘এদিকে তাকান, ওদিকে তাকান; গয়েশ্বর বাবু নাই। ওদিকে তাকান, আমীর খসরু নাই। গেটের ভেতর যত নেতা, নোমান সাহেবও নাই। বেচারা দিশেহারা হয়ে দৌড় যে দিছে, ডেমরার সালাউদ্দিনের দৌড়ের চেয়েও দ্রুত।’

প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা করতে বিএনপি নেতারাই শিখিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোন ইউনিয়ন, কোন দেশ বিবৃতি দিল তাতে কিছু আসে যায় না। আমার দেশের আইনে আমার দেশের অপরাধীকে আমি বিচার করতে পারব না, এটা কোন গণতন্ত্র? কোথা থেকে এল এ আদেশ? আদালত আছে, কেউ নিরপরাধ হলে আদালত তাকে মুক্তি দেবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

এ বিভাগের আরো খবর