২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের পর গত ১০ দিনে চট্টগ্রাম নগরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিএনপি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ দিনে চান্দগাঁও থানায় ১টি, পাঁচলাইশ থানায় ১টি, বায়েজিদ থানায় ৩টি, আকবর শাহ থানায় ২টি, খুলশী থানায় ১টি, পাহাড়তলী থানায় ১টি, ইপিজেড থানায় ১টি, কোতোয়ালী থানায় ১টি, হালিশহর থানায় ১টি ও পতেঙ্গা থানায় ১টি করে মোট ১৩টি মামলা করা হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিছ আলী জানান, ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে সোমবার রাতে নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির ধর্ম সম্পাদক বালুচরা এলাকার হাজী সিরাজ পাশাকে বায়েজিদ থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাছাড়া ওইদিন রাতেই চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিবার কল্যাণ সম্পাদক জাকির হোসেন মিশু, চকবাজার থানা পুলিশ চট্টগ্রাম মেডিক্যালের সামনে থেকে বিএনপি নেতা ইউসুফ, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন উজ্জ্বল, ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ জাবেদ হোসেনকে পাঁচলাইশ থানা, সদরঘাট থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন, চাঁন্দগাও যুবদল নেতা জামাল উদ্দিন, ৪৩নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোহাম্মদ রাজু, বক্সির হাট যুবদল নেতা সাইফুল ও আবু ছৈয়দ, দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড যুবদল নেতা সামসুদ্দীন শামসু সহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তারের পর এবার চট্টগ্রামে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযান ও মিথ্যা গায়েবী মামলা দেয়া শুরু করেছে পুলিশ। বিএনপির ডাকা অবরোধ ও হরতালকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের মতো আবারো গায়েবি মামলা দেয়া শুরু হয়েছে।’
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগের দাবীতে বিএনপির একদফার আন্দোলনে ভীত হয়ে চট্টগ্রামে গণ গ্রেপ্তার শুরু করেছে সরকার। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ের কাউকেই রেহাই দেয়া হচ্ছে না। তারা নির্বাচনের নামে তামাশা করার জন্য দেশকে বিরোধী দলশূন্য করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ নানা ধরনের নাশকতা করে তার দায় বিএনপির ওপর চাপাচ্ছে। তাই বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে সব নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে হবে।’