বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিএসসিসির অনুমতি ছাড়া ঢাকায় ব্যবসা নয়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:৪৪

কর সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানে জড়িত সকলের আচরণগত পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তাপস বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ে একটি বড় বিষয় হলো আপনার আচরণ, আপনার ব্যবহার। এক্ষেত্রে আপনার দপ্তরে যারা সেবাটা নিতে আসছেন তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করবেন, সুন্দর ব্যবহার করবেন। সেবা নিতে এসে একজন ব্যক্তির যেন আপনার দপ্তরে তিনবার, চারবার আসা না লাগে। এটা মোটেই কাম্য নয়। যেদিন এসেছেন সম্ভব হলে সেদিনই তাকে সেবাটা দিবেন। প্রয়োজনে একটু বিলম্ব হলেও সেদিনই সেবাটা দেবেন।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকায় ব্যবসা করতে হলে বাণিজ্যিক অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) নিতেই হবে। এছাড়া কাউকে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে রাজস্ব আদায়ের সার্বিক পর্যালোচনা সভা ‘রাজস্ব সম্মেলনে’ মেয়র এই কথা জানান।

মেয়র বলেন, ‘আমাদের রাজস্ব মেলাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও রাজস্ব আদায়ে আমাদের অভিযানগুলো আরও কঠোর করতে হবে। ব্যক্তি বিশেষের প্রতিষ্ঠান, নামকরা মার্কেট বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যাই হোক না, কেউ যদি বাণিজ্যিক অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) না করে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন, তাহলে প্রয়োজনে সেসব স্থাপনা-মার্কেট সিলগালা করে দিতে হবে, ক্রোক করতে হবে। এ ধরনের কিছু উদাহরণ সৃষ্টির করা হলে বাকিরাও নড়েচড়ে বসবে। সেজন্য আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে আরও কঠোরতা প্রদর্শনের নির্দেশ দিচ্ছি। বাণিজ্যিক অনুমতি ছাড়া আমরা কাউকে ঢাকা শহরে ব্যবসা পরিচালনা করতে দিবো না।’

কর সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানে জড়িত সকলের আচরণগত পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তাপস বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ে একটি বড় বিষয় হলো আপনার আচরণ, আপনার ব্যবহার। এক্ষেত্রে আপনার দপ্তরে যারা সেবাটা নিতে আসছেন তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করবেন, সুন্দর ব্যবহার করবেন। সেবা নিতে এসে একজন ব্যক্তির যেন আপনার দপ্তরে তিনবার, চারবার আসা না লাগে। এটা মোটেই কাম্য নয়। যেদিন এসেছেন সম্ভব হলে সেদিনই তাকে সেবাটা দিবেন। প্রয়োজনে একটু বিলম্ব হলেও সেদিনই সেবাটা দেবেন। তাকে কালকে আসেন, পরশু আসেন, তিনদিন পরে আসেন, দশ দিন পরে আসেন এসব বলা যাবে না।

‘এতে করে সে ব্যক্তি কর দেয়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেন। আপনার আচরণগত কারণে বা তাকে যথাযথ সেবা দেয়া থেকে বঞ্চিত করার কারণে একজন আগ্রহী করদাতাও করখেলাপি হয়ে যেতে পারেন। সুতরাং কোনো আগ্রহী করদাতাকে করখেলাপি বানাবেন না।’

এ সময় হয়রানি ছাড়া জনগণকে সেবা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কঠোরতা দেখানো হবে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা কিন্তু ঝুড়িতে একটাও পঁচা আম রাখতে চাই না। আপনারা জানেন যে, আমরা পঁচা আম ফেলে দিচ্ছি এবং আরও পঁচা আম আমরা ফেলতে থাকব। এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমার দাদি বলতেন, একটা ঝুড়িতে একটা পঁচা আম থাকলে বাকি আমগুলোতেও পচন ধরে। আমের ঝুড়ি থেকে প্রথমে আমগুলো নিয়ে নিচে রাখতে হয়। তারপর যেগুলো ভালো সেগুলোকে ঝুড়িতে রাখতে হয়। যেগুলো পঁচা আম সেগুলো ফেলে দিতে হয়। সুতরাং এখনো যে কটা পঁচা আম আছে বা এখনো যারা অন্যভাবে চিন্তা করেন তারা এখানে থাকতে পারবে না। এখানে থেকে কোনো ধরনের গাফিলতি, অবহেলার সুযোগ নেই।’

দক্ষিন সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় রাজস্ব সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব সচিব আকরামুজ্জামান সহ অন্যান্যরা।

এ বিভাগের আরো খবর