বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শোকানুষ্ঠানে যাওয়ার পথেই শোকে ভাসালেন তারা

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:৫৫

একসঙ্গে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত চন্দনাইশের জোয়ারা ইউনিয়নের পুরো মুহাম্মদপুর এলাকা। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে চারপাশ। তাদের কান্না ছুঁয়ে যাচ্ছে পুরো এলাকার সবাইকে।

বার্ধক্যজনিত কারণে ১৫ দিন আগে মারা যান ফটিকছড়ির শাহনগর এলাকার ৭০ বছর বয়সী কনক রানী দাশ। মঙ্গলবার প্রয়াতের স্বজনরা তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেই শোকানুষ্ঠানে যোগ দিতেই চন্দনাইশের জোয়ারা এলাকা থেকে চার সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন প্রয়াতের নাতনি রিতা রানী দাশ।

রিতার সঙ্গে ছিল তার এক ননদ, ননদের ছেলে ও ভাসুরের ছেলে। চন্দনাইশ থেকে চট্টগ্রাম শহরে এসে নতুন পাড়া থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করেন বাপের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি দুপুর ১২টার দিকে হাটহাজারীর চারিয়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস ও প্রাইভেটকারের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রাইভেট কারটি সটকে পড়ে। সংঘর্ষে রিতার ননদের ছেলে ও অটোরিকশার চালক ছাড়া ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বাকি সবাই। প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর আহত হন অটোরিকশার চালক ও রিতার ননদের ছেলে। শোকানুষ্ঠানে যাওয়ার পথে একসঙ্গে প্রাণ হারান সাত জন। শোকের সাগরে ভাসান স্বজনদের।

রীতা রানী দাশের শ্বশুর বাড়ি ও বাপের বাড়ি এলাকার জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশের জোয়ারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকার হিন্দুপাড়ার নারায়ণ দাশের স্ত্রী রিতা রানী দাশ, বড় মেয়ে ১৭ বছর বয়সী শ্রাবন্তী দাশ, ছোট মেয়ে ৯ বছর বয়সী বর্ষা দাশ, ৪ বছর বয়সী জমজ ছেলে দ্বীপ দাশ ও দিগন্ত দাশ, ভাসুরের ছেলে বিপ্লব দাশ এবং ননদ চিনু বালা দাশ। আহত হন- চালক বিপ্লব মজুমদার ও চিনু বালা দাশের ছেলে বাপ্পা দাশ।

জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মূলত রীতা রানী দাশ তার ঠাকুরমার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন; কিন্তু পথেই ঘটে এই নির্মম দুর্ঘটনা। আকস্মিক এ দুর্ঘটনায় পুরো এলাকা শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে।’

রীতা রানী দাশের বাপের বাড়ি ফটিকছড়ির শাহনগর এলাকার ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘১৫ দিন আগে রীতার ঠাকুরমা মারা গেছেন। আজ ওনার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান ছিল। এখানে আসার কথা ছিল তাদের। কিন্তু পথেই ঘটল এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি।’

দুর্ঘটনার বিষয়ে নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ওসি মো. আদিল বলেন, ‘এটা সিঙ্গেল লেন সড়ক। ধারণা করা হচ্ছে কোনো একটা গাড়ি ওভারটেকিংয়ের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত সবার মরদেহ হাটহাজারী থানায় রাখা হয়েছে।’

নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে একসঙ্গে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত চন্দনাইশের জোয়ারা ইউনিয়নের পুরো মুহাম্মদপুর এলাকা। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে চারপাশ। তাদের কান্না ছুঁয়ে যাচ্ছে পুরো এলাকার সবাইকে।

এ বিভাগের আরো খবর