বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে দাম কমছে আলু-পেঁয়াজের

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৪

দেশের বাজারে আলুর দাম সর্বোচ্চ কেজিতে ৭০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছালে ভারত থেকে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। অন্যদিকে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় তার প্রভাব দেখা যায় দেশের বাজারেও। এতে করে দাম বাড়ে পেঁয়াজের। ফলে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

চট্টগ্রামের বাজারে কমতে শুরু করেছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। গত তিন দিনে আলু ও পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ টাকা করে কমেছে। বর্তমানে আলু ৪০ টাকা এবং পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোতে। নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

ভারত থেকে আলু এবং মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসায় দাম কমেছে বলে মন্তব্য করছেন ব্যবসায়ীরা।

আলুর দাম

গত কয়েক সপ্তাহে, দেশে হঠাৎ করেই আলুর দাম বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় উঠে আলুর দাম। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে দেখা দেয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। এক পর্যায়ে সরকার ভারত থেকে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।

গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়। আমদানির খবরে রোববার থেকে দাম কমতে শুরু করে বাজারগুলোতে।

মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দুই পাইকারি বাজার চাক্তাই ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে আসা আলু গুদামজাত করে রাখা হচ্ছে। এরপর সেখান থেকে খুচার ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় আলু ৪০ থেকে ৪২ টাকা ও দেশীয় আলু ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

দেশের বাজারে আলুর দাম সর্বোচ্চ কেজিতে ৭০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছালে ভারত থেকে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়। চার দিনে ১ হাজার ৯৮৪ টন আলু দেশে প্রবেশ করেছে।

এখনো আসা অব্যাহত নগরীর বহদ্দারহাট, রিয়াজুদ্দিন বাজার, সাবেরিয়া, চকবাজার, কাজির দেউরি, কর্ণফুলী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতীয় আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রিয়াজুদ্দিন বাজারের আলু বিক্রেতা মিজানুর রহমান জানান, বাজারে ভারতীয় আলু আসায় দাম কমেছে বাজারে। পাইকারিতে দাম কমেছে, তাই খুচরা পর্যায়েও এখন দাম কম।

দাম আরও কমার সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান।

পেঁয়াজের দাম

মিয়সনমার থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু করার পর খাতুনগঞ্জে দাম কমতে শুরু করেছে। দুই দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচ ট্রাক মিয়ানমারের পেঁয়াজ ঢুকেছে আড়তে।

ভারতে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পর রাতারাতি বাংলাদেশে দ্বিগুণ হয়ে যায় পেঁয়াজের দাম। ৭০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হতে থাকে ১৪০ টাকায়।

তবে, আড়তগুলোতে মঙ্গলবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। কিন্তু খুচরা বিক্রিতে এর প্রভাব এখনো পড়েনি। দুই-এক দিনের মধ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

মেসার্স খান ট্রেডার্সের এক কর্মচারি জানান, আজ দুই দিন হলো মিয়ানমারের পেঁয়াজ আড়তে ঢুকেছে। স্বাদ ও রং অনেকটা দেশি পেঁয়াজের মতোই। আড়তে এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। অন্যদিকে ভারতের বাজারে পেঁয়াজ মান, আকার ও রং ভেদে ৭৮ টাকা থেকে ৮৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ভারতে ৫ থেকে ৭ রুপি করে কমেছে পেঁয়াজের দাম। তাই দেশের বাজারেও দাম কমেছে। যে পেঁয়াজ কয়েকদিন আগে পাইকারিতে ১০৫ টাকা ছুঁয়েছিল তা এখন ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে তিন দিনে ৮ থেকে ১০ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকেছে খাতুনগঞ্জে। গড়-পড়তা এগুলোর দাম পড়েছে ১০০ টাকার বেশি। বাজার পড়ে যাওয়ায় লোকসানে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।’

এ বিভাগের আরো খবর