বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার দ্বিতীয় দফা অবরোধেও সদরঘাটে লঞ্চ চলাচল চালু রয়েছে। তবে যাত্রী সংকটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। উদ্বেগ-শঙ্কায় অনেকটা যাত্রীশূন্য রাজধানীর প্রধান নদী বন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্য সময়ে সদরঘাটে যাত্রীর চাপ থাকলেও এদিন যাত্রীর সংখ্যা ছিল একেবারেই নগণ্য। দীর্ঘ সময় পর পর লঞ্চ ছাড়লেও নেই তেমন যাত্রীর উপস্থিতি। যেসব যাত্রী অবরোধেও লঞ্চে পাড়ি জমাচ্ছেন তাদের মধ্যেও উদ্বেগ-শঙ্কা কাজ করছে৷
চাঁদপুরগামী যাত্রী সোহেল রানা বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে চাঁদপুর যাচ্ছি৷ অবরোধ থাকলে রাস্তায় গাড়ি থাকে না। অনেক ভোগান্তি। সেজন্য লঞ্চে যাচ্ছি। আগে চাঁদপুরে কিছুক্ষণ পর পর লঞ্চ পেতাম। কিন্তু এখন পাচ্ছি না৷ অনেক্ষণ ধরে বসে আছি। যাত্রী কম। তাই কখন লঞ্চ ছাড়বে ঠিক নেই।’
তিন দিনের অবরোধ শেষে স্বস্তি ফিরেছিল সদরঘাটে। ছিল যাত্রীদের সরব উপস্থিতি। নিয়মিতভাবেই চলেছে বিভিন্ন রুটের লঞ্চ। তবে দ্বিতীয় দফার অবরোধে পাল্টেছে সেই চিত্র। আবারও যাত্রী সংকটে লঞ্চ চলাচল নেমে এসেছে এক-তৃতীয়াংশে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত চাঁদপুরগামী তিনটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে৷ অন্যান্য রুটেও মাত্র কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। সেগুলোতেও ছিল না যাত্রীর তেমন উপস্থিতি। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকটি লঞ্চ ঘাটে ভিড়লেও সেগুলোতেও যাত্রী ছিল হাতগোনা।
কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের করণিক আবুল হোসেন বলেন, ‘যাত্রী একেবারেই কমে গেছে। আগে আধ ঘণ্টা পর পর চাদপুরের লঞ্চ চলতো। এখন দুই-আড়াই ঘণ্টা পরপর লঞ্চ ছাড়া হচ্ছে। তাও যাত্রী হচ্ছে না।’
লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, লঞ্চ চলাচল করছে। তবে যাত্রী একেবারেই কম। যেসব রুটে আগে নিয়মিত ২-৩টি লঞ্চ চলতো সেসব রুটে হয়তো একটি করে লঞ্চ চলছে৷ আসলে লঞ্চ কতগুলো চলবে সেটা নির্ভর করে যাত্রীর ওপর৷ যাত্রী বাড়লে লঞ্চ চলাচলও বাড়ে।
সদরঘাট নৌ-থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, নৌপথে যাত্রীরা নিরাপদে যাতায়াত করছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ সার্বক্ষণিক নদীতে টহল দিচ্ছে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে তল্লাশিও করা হচ্ছে।’