বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) ‘গাইবান্ধা সমন্বিত দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প’ পরিচালকের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের সাঘাটা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে। গাইবান্ধা বিআরডিবির জেলা কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক এবং প্রকল্পটির হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (অ. দা.) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি এসব অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে চেক জালিয়াতি, শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইতোমধ্যে বরখাস্তও হয়েছেন এ কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত আনিছুর রহমান ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর হতে চলতি বছরের ২০ জুলাই পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর ওই দুই পদে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে শেষ দুই বছরে এই অর্থ আত্মসাত করা হয়। একই দপ্তরের অর্থনৈতিক শাখার দুই পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করায় প্রকল্পের অন্তত দুই কোটি টাকা তছরুপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থ আত্মসাৎ ও স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন গাইবান্ধার প্রকল্প পরিচালক আব্দুস সবুর। ওইসব অভিযোগপত্রসহ এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নথি এসেছে নিউজবাংলার হাতে।
চলতি বছরের ১০ অক্টোবর বিআরডিবির মহাপরিচালক (গ্রেড-১) বরাবর করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ২০ জুন গাইবান্ধা সমন্বিত দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প পরিচালকের স্বাক্ষর স্ক্যান করে অগ্রণী ব্যাংক, গাইবান্ধা শাখার প্রকল্পের ব্যাংক হিসাব নম্বর থেকে একই ব্যাংকের একই শাখায় প্রকল্পটির তৎকালীন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (অ. দা.) আনিছুর রহমান তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নম্বরে ২ লাখ ১২ হাজার ৭৭ টাকা স্থানান্তর করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজার বরাবর একটি পত্র প্রেরণ করেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজারের সন্দেহ হলে তিনি তাৎক্ষণিক প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফলে স্বাক্ষর স্ক্যান করে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি ধরা পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে অর্থ স্থানান্তর বন্ধ করা হয়।
পরে ২৬ জুন এ ধরনের আরও কোনো জালিয়াতির ঘটনা এর আগেও ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিআরডিবির ফুলছড়ি সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা দল গঠন করেন গাইবান্ধা সমন্বিত দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুস সবুর। নিরীক্ষা শেষে নিরীক্ষা দল গত ২ আগস্ট গাইবান্ধা সমন্বিত দারিদ্র্য দূরীকরণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের মাত্র দুই বছরের (২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছর) নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দাখিলকৃত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট প্রকল্প পরিচালক ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরে পল্লী বাজার গাইবান্ধা সমন্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পের ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৩৮৬ টাকার একটি স্থায়ী আমানত খোলা হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১ মার্চ স্থায়ী আমানতটি সুদসহ ভেঙ্গে ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬০ টাকা একই ব্যাংকের আনিছুর রহমানের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি এই অর্থ স্থানান্তরের জন্য অফিসের একটি স্বারক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে একটি পত্রও প্রেরণ করা হয়। নিরীক্ষাকালে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখা যায়, অর্থ স্থানান্তরের পত্রে ব্যবহৃত স্বারক নম্বরটি অফিস রেজিস্ট্রারে উল্লেখ নেই। এছাড়া ওই পত্রে প্রকল্প পরিচালকের যে স্বাক্ষরটি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ছিল স্ক্যান করা।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, একই ব্যাংকের গাইবান্ধা প্রকল্পের মূল হিসাব নম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন ৩৮ হাজার ৮৪৯ টাকা প্রকল্পের কর্মচারীদের গ্রাচুইটি হিসেবে একই ব্যাংকের অপর একটি হিসেব নম্বরে স্থানান্তর দেখানো হয়, গ্রাচুইটি তহবিলের জমা খরচ বই ও ব্যাংক স্টেটমেন্টে যার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিরীক্ষাকালে দেখা যায়, এখানে প্রকল্প পরিচালকের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে কর্মচারীদের গ্রাচুইটি তহবিলের পরিবর্তে আনিছুর রহমানের ব্যক্তিগত ওই হিসাব নম্বরে (ই ৩৫৮২) এ টাকাও স্থানান্তর করা হয়েছে।
পরে জ্ঞাত হয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে স্থায়ী আমানত ভেঙ্গে আত্মসাত করা টাকা ফেরত দেয়ার জন্য আনিছুর রহমানকে চলতি বছরের ৩ আগস্ট একটি পত্র পাঠায় প্রকল্প কর্মকর্তা। আনিছুর রহমান প্রকল্পের আত্মসাতকৃত অর্থের আংশিক হিসেবে দুই বার পাঁচ লাখ টাকার করে চেক প্রদান করেন। কিন্তু তার হিসাব নম্বরে কোনো অর্থ না থাকায় চেকগুলো নগদায়ন করা যায়নি। ব্যাংকে টাকা না থাকার পরও বারবার চেক দিয়ে প্রতারণা ও ছলচাতুরি করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
পরে নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই বছরেই (২০২২ ও ২০২৩) ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় আনিছুর রহমান তার কর্মকালে জেলার পলাশবাড়ি উপজেলা এবং জেলা দপ্তরে হিসাবরক্ষক ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে প্রায় এক যুগের কর্মকালে আরও অন্য কোনো আর্থিক অনিয়ম করেছেন কি না, তা উদঘাটনের জন্য দ্বিতীয় দফায় গত ২৩ আগস্ট তিন সদস্যের আরও একটি নিরীক্ষা দল গঠন করা হয়। একইসঙ্গে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে অভিযুক্ত আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়।
কর্তৃপক্ষ আনিছুরের রহমানের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য, প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের গুরতর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে তদন্তে নামে। প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অন্যান্য অভিযোগসমূহের তদন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থে আনিছুর রহমানের অপরাধের ধরণ, প্রকৃতি ও গভীরতা বিবেচনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মহাপরিচালক আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ৫ অক্টোবরের স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে তার খোরাকি ভাতা প্রাপ্যের সুযোগ রাখা হয়। একইসঙ্গে তাকে সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা লাখাই (হবিগঞ্জ)-এর বিপরীতে হবিগঞ্জ জেলায় সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে বিআরডিবির মহাপরিচালক বরাবর গাইবান্ধার প্রকল্প পরিচালকের ৯ অক্টোবর করা অপর একটি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, অর্থ আত্মসাতের দায়ে বরখাস্ত হওয়া আনিছুর রহমান সংযুক্ত জেলায় (হবিগঞ্জ) যোগদান না করে গাইবান্ধায় অবস্থান করে বিভিন্নভাবে অফিসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। অভ্যন্তরীণ নিরিক্ষার মাধ্যমে যে সমস্ত কর্মকর্তা তার বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপ শনাক্ত করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) পোস্ট করে মর্যাদাহানিকর কাজ অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া আনিছুর রহমান আত্মসাতকৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধ না করে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুমতি চাওয়া হয়েছে ওই পত্রে।
অন্যদিকে, প্রকল্প পরিচালক আবদুস সবুরের গাইবান্ধা অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে ৩ অক্টোবর পাঠানো এক পত্রে দেখা যায়, তার ব্যাংকে করা পল্লী বাজার বিআরডিবির স্থায়ী আমানত সুদসহ ভেঙ্গে প্রকল্প পরিচালকের স্বাক্ষর স্ক্যানের মাধ্যমে আনিছুর রহমান ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬০ টাকা স্থানান্তর করে নিজের হিসাব নম্বরে নিয়েছেন। সরকারি অর্থ আদায় এবং এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও করা হয় ওই পত্রে।
পরে প্রকল্প পরিচালকের পত্রের জবাবে ৩০ অক্টোবর অগ্রণী ব্যাংক ম্যানেজারের একটি পত্রে জানানো হয়, স্থায়ী আমানতটি ভেঙ্গে স্থানান্তর চেয়ে প্রকল্প পরিচালকের স্বাক্ষরটি অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে স্ক্যান করায় আপাতঃদৃষ্টিত বোধগম্য হয়নি। এছাড়া এই জালিয়াতির সঙ্গে ওই ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা নেই। অপরাধের দায়ে চিহ্নিত বিআরডিবির কার্যালয়ের আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান ম্যানেজার।
শুধু তাই নয়, প্রকল্প পরিচালকের বর্তমান সাঘাটা পল্লী উন্নয়ন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠানো ১৫ অক্টোবরের এক চিঠিতে বলা হয়, বরখাস্ত হওয়া আনিছুর রহমান বিআরডিবির বিভিন্ন সমিতির সদস্যদের ঋণ পাইয়ে দেয়া এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেয়ার নামে আর্থিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি বিআরডিবির সকল সমিতির সদস্যদের অবগতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়। সে অনুযায়ী নোটিশও করে ওই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে বিআরডিবির ‘গাইবান্ধা সমন্বিত দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প’-এর পরিচালক আব্দুস সবুর বলেন, ‘আনিছুর রহমান সর্বশেষ গত ২০ জুন স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ২ লাখ ১২ হাজার ৭৭ টাকা নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নেয়ার সময় ধরা পড়ে। এরপর তার আরও এমন জালিয়াতি আছে কি না দেখতে একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা দল গঠন করা হয়। দলটি সর্বশেষ দুই বছরের নথি পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে ১০ লাখের বেশি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে আনিছুর রহমান বরখাস্ত হন।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়াও আনিছুর রহমানের কর্মকালের (প্রায় ১০ বছর) কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে গঠিত অপর একটি নিরীক্ষা কমিটি তার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। বিষয়টি প্রধান কার্যালয়কে অবগত করা হয়েছে।’
তবে বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় ঠিক কী পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে, তা বলতে রাজি হননি এ কর্মকর্তা।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। আমরা প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তা ইতোমধ্যে হস্তান্তর করেছি।’
এসময় এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘হেড অফিসের অর্থনৈতিক শাখার দুই পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করায় প্রকল্পের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করা তার জন্য (আনিছুর রহমান) সহজ হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান মোবাইল ফোনে নিউজবাংলার কাছে বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন।
তার দাবি, ‘প্রকল্প পরিচালক আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন। তিনিই আবার তদন্ত কমিটি গঠন করে করেছেন। সেখানে কি নিরপেক্ষ তদন্ত হবে? তদন্ত কমিটির সদস্যরা তো তারই অধীনস্ত।’
এ সময় প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধেই ১৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন আনিছুর।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আব্দুল গাফফার খান মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ আর্থিক দুর্নীতি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
বিপুল পরিমাণ বলতে ঠিক কত টাকা, তা বলতে চাননি তিনিও।