বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যাত্রীদের প্রত্যাশা পূরণে প্রস্তুত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:০৮

সহকারী স্টেশন মাস্টার আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে ভালো লাগছে। আরও কয়েকটি স্টেশনে কাজ করেছি। এ রকম স্টেশন নেই। আমরা মনে করছি এই স্টেশনে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পাবে যাত্রীরা।’

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি তৈরি করা হয়েছে দেশের প্রথম আইকনিক কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন।

অনেকটা ঝিনুকের আদলেই গড়ে তোলা হয়েছে রেলওয়ে স্টেশনের অবকাঠামো।

এখানে রয়েছে তারকা মানের হোটেল, শপিং মল, কনভেনশন সেন্টার, রেস্তোরাঁ, শিশু যত্নকেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। রেলওয়ে স্টেশনেটি আগামী ১১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে রোববার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম থেকে তিন হাজার ইঞ্জিনের একটি লকোবেটর ও আটটি বগি নিয়ে একটি ট্রেন কক্সবাজার গিয়ে পৌঁছায়।

আক্ষরিক অর্থে ঝিনুক না হলেও সমুদ্র দর্শনে গিয়ে প্রথম দর্শনেই সামুদ্রিক আবহ পাওয়া যাবে গোটা স্টেশনে। কেবল আসা-যাওয়ার জন্যই হয়নি এই স্টেশন, দেয়া হয়েছে এর বহুমাত্রিক রূপও।

চোখ ধাঁধানো আইকনিক স্টেশনে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চারপাশে ব্যবহার হয়েছে কাচ। ছাদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক স্টিল ক্যানোপি। ফলে দিনের বেলা কৃত্রিম আলোর ব্যবহার করতে হবে না স্টেশনে। আর আধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই একে বলা হচ্ছে গ্রিন স্টেশন।

রাজধানী থেকে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে পৌঁছে পর্যটকরা লাগেজ বা মালামাল স্টেশনের লকারে রাখতে পারবেন। সারা দিন সমুদ্র সৈকত বা পর্যটন স্পট ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে।

এখন এটি প্রস্তুত। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে ভ্রমণপিপাসুদের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজারের আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আবদুল জাবের মিলন বলেন, ‘স্টেশন ভবনটিতে এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। এ ছাড়া যাবতীয় কাজ শেষ। এসি থেকে শুরু করে সব কাজই শেষ; এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ১৪টি চলন্ত সিঁড়ি, যা দেশের অন্য কোনো রেলওয়ে স্টেশনে নেই।’

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নির্মাণ করা হয়েছে আইকনিক স্টেশনটি, যা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২১৫ কোটি টাকা। এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন প্রথম স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী। তার নেতৃত্বে আছেন আরও দুই সহকারী স্টেশন মাস্টার, তিনজন কাউন্টার ম্যানেজার।

আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের প্রথম স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আজকে (রোববার) প্রথম ট্রেন এসেছে। উদ্বোধনের পরেই হয়তো পুরোপুরি চালু হলে এটির সুফল মিলবে। এরই মধ্যে প্রাথমিক অপারেশনের জনবল দেয়া হয়েছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর স্টেশন, যা দেখে পর্যটকরা আনন্দিত হবেন।’

সহকারী স্টেশন মাস্টার আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে ভালো লাগছে। আরও কয়েকটি স্টেশনে কাজ করেছি। এ রকম স্টেশন নেই। আমরা মনে করছি এই স্টেশনে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পাবে যাত্রীরা।’

রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলেই বন্দর নগরী থেকে আড়াই ঘণ্টায় আর ঢাকা থেকে সাড়ে সাত ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে সৈকতের নগরে।

এদিকে চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। এক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এ প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর