বাগেরহাটে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিকাশ এজেন্ট মো. রমজানের ৭ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই কারারক্ষীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে টাকা বহনের ব্যাগ ও ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার বাদেকাড়াপাড়া গ্রামে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন- যশোরের কেশবপুর উপজেলার আছির সরদারের ছেলে প্রসাদ সরদার ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের হেলালের ছেলে মনিরুল ইসলাম। আটক দুজনই বাগেরহাট জেলা কারাগারের রক্ষী।
বিকাশ এজেন্ট মো. রমজান বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দশানী মোড়ের দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে রওনা দেই। বাড়ির গেটে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন আমাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে হ্যান্ডকাফ লাগানোর চেষ্টা করে এবং আমার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোনের ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
‘এক পর্যায়ে আমি চিৎকার দিলে, তারা মোবাইল ও টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি দৌড়ে মোটরসাইকেলসহ প্রসাদ সরদারকে ধরতে সক্ষম হই। ইতোমধ্যে এলাকার লোকজনও চলে আসে। তবে ওরা আমার ব্যাগে থাকা প্রায় ৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।’
রমজানের প্রতিবেশী শেখ বোরহান উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘রমজান চিৎকার দিলে আমরা সবাই বের হয়ে আসি। মনিরুল ইসলাম নামের ওই ছিনতাইকারীকে বেঁধে ফেলি। পরবর্তীতে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। আমরা এই ছিনতাইকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য আবিদা সুলতানা বলেন, ‘এর আগে বাদেকাড়াপাড়া এলাকায় এক নারীর ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি। মাঝে-মধ্যেই মোটরসাইকেলে অপরিচিত যুবকরা এলাকায় টহল দেয়।’
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের হাতে আটক মনিরুলের তথ্য অনুযায়ী প্রসাদ সরদারকে আটক করেছি। পরে দুজনকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে একটি সুপারি বাগান থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন রাখার ব্যাগ এবং ছয়টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে থাকা অপর ছিনতাইকারীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে আটক ও টাকা উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে।’