উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারা সহিংসতা ঘটাচ্ছে, আগুন লাগাচ্ছে তার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ।
রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
হারুন অর রশীদ বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যারা জনগণের জানমাল, সরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগাচ্ছে, তাদের অনেকের নাম আমরা পেয়ে গেছি। তারা বাংলাদেশের যেখানেই থাকুক না কেন, আমরা অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
তিনি বলেন, একটি মানুষের শেষ সম্বল একটি বাস। যাত্রী পরিবহন করে তার সংসার চলে। তার একমাত্র অবলম্বন যদি রাত ৩টা, দেড়টার সময় তারা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলে, তার লাইফটাই তো শেষ হয়ে যাবে। আমি মনে করি, এটা গর্হিত কাজ।
মহানগর ডিবির প্রধান বলেন, এই যে মানুষের জানমালের ওপর আঘাত করা, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা, ককটেল নিক্ষেপ করা, এসব কাজ যারা করছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জেনেছি, ২৮ তারিখের পর থেকে যারা হরতাল ডেকেছে, ২৮ তারিখ যারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, আমাদের পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে-নির্বিচারে হত্যা করেছে পিটিয়ে; অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের তারা মেরেছে এবং ওই দিন বাসে যারা আগুন লাগিয়েছে-তারাই তো পরদিন হরতাল ডেকেছে। হরতালের মধ্যেও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে। অবরোধ ডেকেছে, অবরোধের মধ্যে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে।
প্রশ্ন তুলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এতদিন তো আগুন লাগেনি! অবরোধ ডাকার পরে এই আগুনগুলো কারা লাগাচ্ছে, আমরা জানি। তাদের নাম আমরা পেয়েছি, ছবি পেয়েছি। আমরা অবশ্যই তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।