পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘মানুষ নির্বাচনে যাবে, মানুষের মধ্যে আনন্দ উৎসাহ রয়েছে। নির্বাচনী জোয়ারে বিরোধী দলের আন্দোলন কচুরিপানার সঙ্গে ভেসে যাবে।’
সুনামগঞ্জে রোববার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঠদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ এখনো শতভাগ তৈরি হয়নি তবে সময়মতোই দেশে জনগণের নির্বাচন জোয়ার বইবে। হরতাল-অবরোধের কারণে দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
‘যারা এমন কর্মসূচি দিচ্ছে তারা নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছে, জাতির পায়ে কুড়াল মারছে। অতীতেও কিছু মানুষ এমন অপকর্মের চেষ্টা করেছে কিছুই করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। লড়াই সংগ্রম করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। দরকার হলে আবারও দেশের মানুষ উন্নয়নের সংগ্রাম করে উন্নয়নের সরকার শেখ হাসিনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
মূল্যস্ফিতি তিনি বলেন, ‘সব কিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই, মূল্যস্ফিতি সকল দেশেই আছে, আমাদের দেশেও আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও বর্তমানে ৮ ভাগ ও ইংল্যান্ডে ৯ ভাগ মূল্যস্ফিতি আছে। এর মানে এটা না যে মন্দ দিয়ে ভালোর মূল্যায়ন করা যায় না, তবে সরকার চেষ্টা করছে।
‘সরকারের মূল লক্ষ্য নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকার এক থেকে দেড় কোটি নিম্ন আয়ের মানুষকে ন্যায্য মূল্যে খাবার দিচ্ছে। এই ন্যায্য মূল্যে খাবার বিতরণ করায় মূল্যস্ফিতির ছোবল টা নিচে দিকে থাকছে। এইটা না হলে মূল্যস্ফিতি ১৫ থেকে ১৬ ভাগে উঠে যেত। সরকার এ মূল্যস্ফিতি আরও কমিয়ে আনবে। এখন অগ্রয়াহন মাস আর ২০ থেকে ২২ দিন পরেই ধান কাটা শুরু হবে তখন আরও মূল্যস্ফিতি নামা শুরু হবে।’
দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আলু ডিম নিয়ে কিছু লোক খেলা খেলতে চেয়েছিল আমরাও খেলা খেলবো তবে আমরা খেলবো বাজারে আলু, ডিম আমদানি করে।’
এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজের প্রকল্প পরিচালাক ডা. শামস উদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জন আহমদ হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহশান শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিনসহ আরও অনেকে।