বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাভারে কাজে যোগ দিলেন পোশাক শ্রমিকেরা

  • প্রতিনিধি, সাভার   
  • ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ১৪:১৪

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স) মোহাম্মদ আজাদ মিয়া বলেন, ‘গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই-বোনেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগদান করছেন। গত কয়েকদিন এ এলাকায় যে পরিস্থিতি ছিল আজকে তা অনেক ভালো।’

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত কয়েকদিনের আন্দোলন শেষে সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলোতে কাজে যোগ দিতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।

সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া, ছয়তলা ও নরসিংহপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পোশাক কারখানাগুলোতে রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে দলবেঁধে শ্রমিকরা প্রবেশ করছেন। গত কয়েকদিন ধরে এ এলাকাগুলোতেই শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে বেশি।

আশুলিয়ার বেরণ এলাকার এনভয় গার্মেন্টস ও স্টারলিং অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

এ সময় এক পোশাক শ্রমিক বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের শ্রমিকদের জীবনযাপন করা অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের বেতন বৃদ্ধি হয়নি। আমাদের মজুরি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কিন্তু আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। ভালোভাবে কারখানায় কাজ করে বাসায় ফিরতে চাই। আমাদের দাবি সরকার যেন দ্রুত আমাদের মজুরি বৃদ্ধি করে।’

এ সময় কারখানাগুলোর সামনে শিল্প পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি টহলরত ছিলেন বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যরা।

কয়েকজন পোশাক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে কয়েকদফা আলোচনা হলেও আসলে তাদের ন্যূনতম মজুরি কত হবে এ নিয়ে সন্দিহান পোশাক শ্রমিকরা। যার কারণে গত কয়েকদিনে শ্রমিকরা কারখানায় কাজ যোগদান করে আবার বেরিয়ে এসে আন্দোলন করেছে।

তাদের দাবি, তাই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ন্যায্য যৌক্তিক মজুরি কাঠামো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। এ সেক্টরে যাতে আর কোনো ঝামেলা বা অন্যকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেদিকে সরকার লক্ষ্য রাখুক।

যেকোনো অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব এলাকায় বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স) মোহাম্মদ আজাদ মিয়া বলেন, ‘গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই-বোনেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগদান করছেন। গত কয়েকদিন এ এলাকায় যে পরিস্থিতি ছিল আজকে তা অনেক ভালো। আমার যেটা মনে হচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিক ভায়েরা ও বোনেরা বুঝতে পেরেছেন, যে তাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। যেটা এখন তাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে।’

সাভার শিল্পাঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে নতুন মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন এখানকার পোশাক শ্রমিকরা। সড়ক অবরোধের সময় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে যাতে পুলিশ, শ্রমিক ও পথচারীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর