রাজধানীর উত্তরা হাউজবিল্ডিং এলাকায় পুলিশের টহল গাড়িকে লক্ষ্য করে ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মাহবুব আলীসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল ৭টার পরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ককটেল নিক্ষেপে জড়িত অভিযোগে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জিএম হাসানকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মো. মাসুদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল সাতটার দিকে তারা মিছিল করার জন্য জমায়েত হচ্ছিল। তখন পাশ দিয়া যাওয়া পুলিশের একটি টহল গাড়িকে লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে। একটা ককটেল বিস্ফোরণ হয়ে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আরেকটি ককটেল অবিস্ফোরিত ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জিএম হাসানকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। দুই মাস আগে তিনি সাবেক হয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
টহল গাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জিএম হাসান। ছবি: সংগৃহীত
এ ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (অপারেশন) পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী বলেন, ‘উত্তরার মহাসড়ককেন্দ্রিক ভোর থেকেই পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিল। সকাল অনুমান ৭টার দিকে হাউজবিল্ডিং মমতাজ মহলের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সেক্রেটারি মো. রাসেল বাবুর নেতৃত্বে একটি মিছিল হঠাৎ উপস্থিত হয় এবং অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশকে দেখতে পেয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে দুইটি ককটেল নিক্ষেপ করে।
‘একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় থাকে। কর্তব্যরত পুলিশ তাদের মধ্য থেকে জিএম হাসান নামে একজনকে আটক করে। এ ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরবর্তীতে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ককটেলটি নিষ্ক্রিয় করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটক জিএম হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সেক্রেটারি মো. রাসেল বাবুর আহ্বানে তিনিসহ আরও অনেকে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, জানমালের ক্ষতি করে অবরোধ সফল করার উদ্দেশে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে।’