বিএনপিসহ বিরোধীদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন রোববার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিলসহ পিকেটিং করেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় তারা সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।
এ ছাড়া গত ১২ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির অন্তত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সাতটি থানা এলাকায় এসব অভিযান চলে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা।
তিনি বলেন, ‘নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিভিন্ন থানায় করা মামলাগুলোর ফলোআপ হিসেবে এসব অভিযান চলে৷ অভিযানে আটক বিএনপি নেতা-কর্মীদের পুরোনো ও নতুন বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
বিএনপিসহ বিরোধীদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে সদর উপজেলার চাঁদমারী, টানবাজার, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়, এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের সোনারগাঁ উপজেলার সিংলাবো, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল। আড়াইহাজার বান্টিবাজার, জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি৷ এসময় সড়কে আগুন ও প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে দলের নেতা-কর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান, সদরের সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ সমর্থকরা সড়কে কেরোসিন ঢেলে টায়ারে আগুন ধরিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। পুলিশি টহলের কারণে তারা মহাসড়কে যানবাহন বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেনি৷ পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।
এ দুই মহাসড়কে ভোর থেকে বিজিবির একটি দলকে টহল দিতে দেখা গেছে।
এদিকে রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো সংঘর্ষ বা গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা বলেন, ‘যেকোনো ধরনের অগ্নিসংযোগ, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সড়ক-মহাসড়কেও টহল দিচ্ছে র্যাব, বিজিবি দল।’
এদিকে সড়ক-মহাসড়কে আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল সকাল থেকে কম চলাচল করতে দেখা গেছে।