‘এই সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখে শুনে বুঝে নমিনেশন দেবেন; যাকে খুশি তাকে নমিনেশন দেবেন। নৌকা যাকে দেবে তার পেছনে কাজ করব।’
লালমনিররহাটের বুড়িমারীতে আমানত উল্লা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শনিবার বিকেলে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য আতাউর রহমান প্রধান এসব কথা বলেন।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে আতাউর রহমান বলেন, ‘আমাকে কেন ভয় পান? আপনারা বলেন- কিসের কেন্দ্রীয় নেতা? আমি কি নেতা হইতে চেয়েছিলাম? আপনারাই তো বানাইলেন! আমি চেয়েছিলাম আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে কাজ করব। মানুষের উপকার করব। আমি কারও কোনো ক্ষতি করতে আসিনি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা আমাকে দেখে ঈর্ষান্বিত হয়। আমাকে দেখলে তারা পার্টি অফিসে তালা দিয়ে বন্ধ করে চলে যায়। আমি সমাবেশের আয়োজন করেছি সে জন্য আপনারা পাটগ্রামে আরেকটা সমাবেশ ডেকেছেন। সে সমাবেশে তো লোক নাই। আর আমার সমাবেশের মাঠে জায়গা দিতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে আমার চাকুরি জীবন শেষ করেছি এবং স্বচ্ছতা থাকার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তিনটি ব্যাংকের এমডি করেছেন।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বর্তমানে সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা দরকার। সে কারণে আবার এই সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আমি এ আসনের নৌকার মনোনয়ন পেলে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখব। আমি মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হলে বুড়িমারী স্থলবন্দরটি আধুনিকায়নসহ ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ চালু করব। যাতে ব্যাবসা বাণিজ্যের প্রাসার ঘটবে; কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। তিন বিঘা করিডোর এক্সপ্রেস চালু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি চালু করতে পারে নাই। আমি সেটি তিন মাসের মধ্যেই চালুর ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।’
শেখ হাসিনা সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রচার এবং দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে লালমনিররহাট আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য আতাউর রহমান প্রধান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আকতারুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ সারওয়ার হায়াত খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা।
বক্তারা বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বিএনপি-জামায়াতের সাম্প্রতিক সহিংস কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন।