বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকা যাকেই দেই, বিজয়ী করুন: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:৫৭

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই এত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন। এখনও অনেক উন্নয়ন কাজ বাকি, সেগুলো যেন শেষ করতে পারি। কারণ অগ্নিসন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীরা ক্ষমতায় এলে এই দেশটাকে টিকতে দেবে না। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট দেয়ার কারণেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যাকেই নৌকা প্রতীক দেয়া হবে তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।’

শনিবার বিকেল ৪টার দিকে মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন শেষে রাজধানীর আরামবাগে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা মার্কা পারে স্বাধীনতা দিতে, নৌকা মার্কাই পারে উন্নয়ন দিতে। আমি ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ করব- একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই এত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, সেটা আমরা নির্ধারণ করব। যাকে মনোনয়ন দেব ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে তার পক্ষে কাজ করতে হবে, যেন আবারও আমরা এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি।

‘এখনও অনেক উন্নয়ন কাজ বাকি, সেগুলো যেন শেষ করতে পারি। কারণ অগ্নিসন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীরা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে এই দেশটাকে টিকতে দেবে না। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

২১ বছর দেশের মানুষ অন্ধকারে ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলাম তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছি, রাস্তাঘাট করেছি। বড় বড় নদীর ওপর ব্রিজ করেছি। কিন্তু গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দেইনি বলে ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাদের হারানো হয়।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, আমি জাতির পিতার কন্যা, আমি তো দেশের সম্পদ অন্যের হাতে তুলে দিতে পারি না। আমি সেটা দেইনি। কিন্তু খালেদা জিয়া ২০০১ সালে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে তারা ক্ষমতায় আসার পরপর কী হয়েছিল? পহেলা অক্টোবর এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন হ্যাঁ-না ভোট আর ভোট কারচুপির প্রক্রিয়া। এরশাদও একই কাজ করেছেন।

‘খালেদা জিয়াও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি করেছেন। দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০১-এ সরকারে এসে সংখ্যালঘু নির্যাতনের রেকর্ড গড়েছে। সারের জন্য মানুষের প্রাণ গেছে। বিদ্যুতের জন্য মানুষের প্রাণ গেছে। পানির জন্য হাহাকার ছিলো।’

আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব সমস্যার সমাধান করেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এছাড়া পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা বন্দর, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অনেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় দেশ দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’

নৌকাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে প্রত্যাশিত সময়েই বাংলাদেশ সমৃদ্ধিশীল দেশে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফি।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দীন নাছিম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।

এ বিভাগের আরো খবর