বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাইবান্ধার দুই সাংবাদিকের নামে মামলা, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

  • প্রতিনিধি,গাইবান্ধা   
  • ৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:৪৮

মানববন্ধন শেষে সংবাদকর্মীরা শহরের এক নম্বর ট্রাফিক মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন। ওই সময় তারা রাস্তায় শুয়েও অবস্থান নেন। এতে রাস্তার উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাইবান্ধার দুই সাংবাদিকের নামে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।

শহরের আসাদুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে (ডিবি রোডে) শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করে গাইবান্ধা প্রেস ক্লাব।

মানববন্ধন শেষে সংবাদকর্মীরা শহরের এক নম্বর ট্রাফিক মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন। ওই সময় তারা রাস্তায় শুয়েও অবস্থান নেন। এতে রাস্তার উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

কর্মসূচিতে গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ীর প্রেস ক্লাব ও পলাশবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিক নেতাসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সভাপতি খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে, দপ্তর সম্পাদক দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার গাইবান্ধা প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহর সঞ্চালনায় মানববন্ধনের শুরুতেই ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য দেন মামলায় অভিযুক্ত প্রেস ক্লাব গাইবান্ধার সিনিয়র সহসভাপতি ও বাংলাদেশ সমাচারের বিশেষ প্রতিনিধি রবিন সেন এবং চ্যানেল এসের জেলা প্রতিনিধি ও প্রেস ক্লাব গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হোসেন।

পরে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাব গাইবান্ধার সিনিয়র সহসভাপতি মিজানুর রহমান রাজু, পলাশবাড়ী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন, পলাশবাড়ী রিপোর্টাস ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, ফুলছড়ি প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মেহেদী হাসান বাবু, গাইবান্ধা কার ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সহসভাপতি মানিক, প্রেস ক্লাব গাইবান্ধার সহসাংগঠনিক সম্পাদক জোবাইদুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক লাল চাঁন বিশ্বাস সুমন ও ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ছালাম আশেকী। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে পুলিশকে নিরেপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও আহ্বান করেন।

এর আগে গত ২৫ জুলাই গাইবান্ধা শহরের জ্যোতিপ্রভা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারের স্বত্বাধিকারী দীপঙ্করের (দীপক কুমার রায়) বিরুদ্ধে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার এক নারী গাইবান্ধা সদর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে দীপঙ্করের সঙ্গে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেয়ার সুবাদে ওই নারীর পরিচয় হয়। পরে তাকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেয়াসহ বিভিন্নভাবে একাধিক প্রলোভন দিয়ে দীপঙ্কর তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই কয়েক দফা শারীরিক সম্পর্ক করেন।

অভিযোগে বলা হয়, শারীরিক সম্পর্কের গোপন ভিডিওচিত্র সংরক্ষণ ও ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন সময়ে নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকেন দীপঙ্কর। এর একপর্যায়ে ওই নারীকে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করবে বলেও জানান দীপঙ্কর। একই সঙ্গে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকরি নিয়ে দেয়ার কথা বলে ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পরে এসব বিষয় নিয়ে ওই নারী দীপঙ্করের সঙ্গে জোরালোভাবে কথা বলতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ তার কাছে থাকা শারীরিক সম্পর্কের গোপন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর হুমকি দেয়া হয়। এ সম্পর্কে কারও কাছে কোনো অভিযোগ করলে বা জানালে জীবননাশসহ অপূরণীয় ক্ষতি করবে মর্মেও হুমকি দেন দীপঙ্কর।

এ ঘটনা তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক জাভেদ হোসেন ও রবিন সেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই দুই সাংবাদিককে অভিযুক্ত করে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন দীপক কুমার রায়। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর