টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালমেঘা এলাকায় অটোরিকশা চালক আমিনুল ইসলামকে হত্যার রহস্য উদঘটানের দাবি করেছে পুলিশ। তারা বলছে, এক গৃহবধূ অসুস্থতার ভান করে রোগী সেজে তার অটোরিকশা ভাড়া করেন। পরে আমিনুল ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি জানান, গৃহবধূ শরিফা আক্তার শিল্পী অসুস্থতার ভান করে রোগী সেজে অটোরিকশাটিতে ওঠেন। তার সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। তারা অটোরিকশা নিয়ে কালমেঘা এলাকায় পৌঁছে চালক আমিনুল ইসলামকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ গুম করার উদ্দেশে পাশের বেলতলী বনের ভেতর রেখে অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যান তারা।
ওই হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লালমনিরহাটে কালিগঞ্জের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী শরিফা আক্তার শিল্পী, পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার মৃত এনামুল হকের ছেলে বাহার হোসেন কাজল মোল্লা ওরফে হুমায়ুন কবির হেলাল, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ঘেঁচুয়া গ্রামের আ. রহমান মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া ও নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার দত্তেরগাঁও ভিটিপাড়া গ্রামের মৃত ছালাম খানের ছেলে মোখলেছুর রহমান মুকুল।
পুলিশ সুপার আসামির বরাত দিয়ে জানান, চারজনই আন্তঃজেলা অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাদের নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে। এই চক্রের আরেকজন এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গ্রেপ্তার আসমিদের নামে বিভিন্ন থানায় ৮ থেকে ১০টি করে মামলা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, কারাগারে থাকার সময় একজনের সঙ্গে অন্যের পরিচয় হয়। পরে বের হয়ে এসে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন তারা। গৃহবধূ শিল্পীও তাদের সহযোগিতা করতেন।
পুলিশ সুপার জানান, শিল্পীকে গাজীপুরের কাশিমপুর ঢালাইসিটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে তার স্বীকারোক্তিতে অন্যতিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসমিদের বিরুদ্ধে ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
গত ২৮ অক্টোবর টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালমেঘা এলাকার একটি আকাশমনি বাগানে অটোরিকশা চালক আমিনুল ইসলামকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য বেলতলী বনের ভেতর ফেলে রেখে যাওয়া হয়। পরে ২৯ অক্টোবর সখীপুর থানায় এ নিয়ে মামলা হয়।